Sunday, June 22, 2025
Homeরাজনীতিইশরাক হোসেনের তত্ত্বাবধানে আংশিক চালু হচ্ছে ডিএসসিসি সেবা

ইশরাক হোসেনের তত্ত্বাবধানে আংশিক চালু হচ্ছে ডিএসসিসি সেবা

নগর ভবনের অবরোধ চলমান, সরকারি পদক্ষেপ দাবি বিএনপিপন্থীদের

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন ঘোষণা দিয়েছেন, ১৫ মে থেকে স্থগিত থাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জরুরি সেবা তার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আংশিকভাবে চালু করা হবে। তবে নগর ভবনসহ ১০টি আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ থাকবে এবং কোনো কর্মকর্তা সেখানে প্রবেশ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।

রোববার দীর্ঘ ঈদ ছুটির পর প্রথম কার্যদিবসে নগর ভবনে অবস্থান নিয়ে ইশরাকপন্থী ডিএসসিসির কর্মীরা বিক্ষোভ করেন। সকাল ১০টা থেকে তারা নগর ভবনে জড়ো হয়ে শ্লোগান দিতে থাকেন এবং ১১টার দিকে ইশরাক নিজে সেখানে উপস্থিত হয়ে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, “আমরা নাগরিকদের জন্য জন্মসনদসহ দৈনন্দিন সেবা পুনরায় চালু করবো, তবে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প বা বিভাগের কার্যক্রম অনুমোদন করব না। প্রধান গেট খুলে দেওয়া হবে না, এটি আমাদের প্রতিবাদের অংশ।”

ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. জিল্লুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, “এই বিষয়টি স্পর্শকাতর। তবে কোনো কাজ যদি অবৈধ হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।”

ইশরাক জানান, আন্দোলনের ফলে মানুষের কষ্ট হচ্ছে, এটি তিনি বুঝেন। কিন্তু গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এ কষ্ট সহ্য করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি। “সরকার যদি মনে করে, আমরা শক্তি দিয়ে এসব করছি, সেটি ভুল ধারণা। আমি নির্বাচিত মেয়র হিসেবে নিজের অধিকারের জন্য লড়ছি,” বলেন ইশরাক।

তিনি দাবি করেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং শপথ গ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আদালতের আদেশ লঙ্ঘন করেছেন। শপথ অনুষ্ঠান না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ মার্চ নির্বাচন ট্রাইব্যুনাল ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে রায় দেয়। এর এক মাস পরে, ২৮ এপ্রিল, নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করে। কিন্তু স্থানীয় সরকার বিভাগ আইনি জটিলতার অজুহাত দেখিয়ে তার শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা নেয়নি।

স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেন, “কোনো বৈধ প্রতিষ্ঠানের সেবা যদি অন্য কেউ দেয়, সেটা সম্পূর্ণ বেআইনি। সরকারকে আইনি পদক্ষেপ নিয়ে তা বন্ধ করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ট্রাইব্যুনাল মেয়াদ শেষে রায় দিয়েছে, অথচ ইশরাক আপিলও করেননি। এমন রায় পাঁচ বছর আটকে রাখাও প্রশ্নবিদ্ধ। সেবা বন্ধ করে জনভোগান্তি তৈরি করা অমানবিক।”

১৫ মে থেকে ইশরাকের সমর্থকেরা ডিএসসিসির সদর দপ্তর ও আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোর কার্যক্রম বন্ধ রেখেছেন। ফলে জন্মসনদ, নাগরিক সনদসহ নানা জরুরি সেবা বন্ধ রয়েছে, যার ফলে নগরবাসী চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

সরকার এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সংকট আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

RELATED NEWS

Latest News