আধুনিক সেচ প্রযুক্তি আমদানিতে শুল্ক জটিলতার কারণে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ জানিয়েছে শেরপা পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবু তাহের জানান, অস্ট্রিয়া থেকে আমদানিকৃত সেন্টার পিভট ইরিগেশন (সিপিআই) যন্ত্রাংশ চট্টগ্রাম বন্দরে আটকে আছে।
তাঁর অভিযোগ, কাস্টমস কর্মকর্তারা কৃষি যন্ত্রপাতি সম্পর্কে পর্যাপ্ত ধারণা না থাকায় সিপিআই যন্ত্রটিকে আলাদাভাবে বিভিন্ন বাণিজ্যিক পণ্যের অংশ হিসেবে বিবেচনা করছেন, যার ফলে শুল্ক বহুগুণ বেড়ে গেছে।
তিনি জানান, প্রকল্পটি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)-এর অধীনে পরিচালিত এবং এতে ব্যবহৃত যন্ত্রাংশ সম্পূর্ণ ইউনিট হিসেবে বিবেচনা করার কথা। কিন্তু বিভ্রান্তিকর শ্রেণিবিন্যাসের ফলে প্রাথমিকভাবে ১২ লাখ টাকা শুল্ক নির্ধারণ করা হলেও তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২ লাখ টাকায়। ফলে প্রতিষ্ঠানটি প্রতি মাসে প্রায় ৪ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে।
মো. আবু তাহের আরও বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে বিএডিসি বা বুয়েটের মতামত নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সিপিআই যন্ত্রপাতির এই প্রকল্পটি পাবনা, নাটোর ও সিরাজগঞ্জ জেলায় ভূ-উপরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নকল্পে বাস্তবায়িত হচ্ছে। যন্ত্রপাতি বন্দরে আটকে থাকায় পুরো প্রকল্পটির ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।
প্রতিষ্ঠানটির দাবি, আমদানি জটিলতা নিরসনে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে কৃষিক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ও উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর লক্ষ্যে নেওয়া উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হবে।