২০২৬ সালের গ্রীষ্মে আয়ারল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যকার ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি সিরিজ ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে পারে। বিবিসি স্পোর্টের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড ইতিমধ্যে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সঙ্গে সিরিজ আয়োজন নিয়ে আলোচনা করেছে।
আলোচনার পর ইসিবি বিভিন্ন কাউন্টি ক্লাবকে ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব দিতে আহ্বান জানিয়েছে। সিরিজটিতে তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি–টোয়েন্টি ম্যাচ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সব ম্যাচ ইংল্যান্ডে হবে নাকি কিছু আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। একাধিক ভেন্যু নিয়ে আলোচনা চলছে।
ক্রিকেট আয়ারল্যান্ডের এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হচ্ছে ইংল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশি ও আইরিশ দর্শকদের আকৃষ্ট করা। যুক্তরাজ্যে প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার বাংলাদেশি নাগরিকের মধ্যে বড় অংশই লন্ডন ও আশপাশে বাস করেন। ফলে বড় দর্শক উপস্থিতি নিশ্চিত করে আয় বাড়ানোর আশা করছে আয়ারল্যান্ড বোর্ড।
আর্থিক সংকট ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আয়ারল্যান্ড নিজ দেশে সিরিজ আয়োজন করতে হিমশিম খাচ্ছে। ২০২৪ সালে খরচ ও সুবিধার ঘাটতির কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নির্ধারিত টি–টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ বাতিল করতে বাধ্য হয় তারা।
এবারের আলোচনায় এসেক্স কাউন্টি ক্লাব এগিয়ে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা চেলমসফোর্ডের কাউন্টি গ্রাউন্ডে টি–টোয়েন্টি পর্ব আয়োজনের আগ্রহ জানিয়েছে। ২০২৩ সালের মে মাসে এই একই মাঠে আয়ারল্যান্ড–বাংলাদেশ ওয়ানডে সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে প্রায় ১০ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন এবং দুই ম্যাচ ছিল সোল্ড-আউট।
চেলমসফোর্ডের স্টেডিয়ামে প্রায় ৬,৫০০ আসন রয়েছে এবং এটি পূর্ব লন্ডনের কাছাকাছি হওয়ায় বাংলাদেশি দর্শকদের জন্য এটি সহজে পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি করে।
২০২৬ সালের এই সিরিজটি আইসিসির ভবিষ্যৎ সফরসূচি অনুযায়ী আগস্টে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যদিও সময়সূচিতে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
এদিকে ক্রিকেট আয়ারল্যান্ড ২০২৮ সালের মধ্যে ডাবলিনের কাছে একটি নতুন আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা করছে, যা সম্পন্ন হলে নিজ দেশে বড় ম্যাচ আয়োজনের সক্ষমতা অনেক বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
