Monday, November 10, 2025
Homeআন্তর্জাতিকইরানের মাশহাদে জলাধারের পানি তিন শতাংশের নিচে, তীব্র পানি সংকট

ইরানের মাশহাদে জলাধারের পানি তিন শতাংশের নিচে, তীব্র পানি সংকট

দেশজুড়ে ১৯টি বড় জলাধার শুকিয়ে গেছে, তেহরানেও সম্ভাব্য রেশনিং

ইরানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শহর মাশহাদের জলাধারগুলোতে পানির মজুদ তিন শতাংশের নিচে নেমে গেছে। রোববার গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানানো হয়। দেশটিতে তীব্র পানি সংকট চলছে।

মাশহাদের পানি কোম্পানির প্রধান নির্বাহী হোসেইন এসমাইলিয়ান আইএসএনএ সংবাদ সংস্থাকে বলেন, মাশহাদের জলাধারে পানির মজুদ এখন তিন শতাংশেরও কম। তিনি যোগ করেন, বর্তমান পরিস্থিতি দেখিয়ে দিচ্ছে যে পানি ব্যবহারের ব্যবস্থাপনা আর শুধু সুপারিশ নয়, এটি এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে।

ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মাশহাদে প্রায় চল্লিশ লাখ মানুষের বাস। দেশটির সবচেয়ে পবিত্র এই শহর চারটি জলাধারের ওপর নির্ভরশীল। এসমাইলিয়ান জানান, শহরে পানির ব্যবহার প্রতি সেকেন্ডে প্রায় আট হাজার লিটারে পৌঁছেছে। এর মধ্যে জলাধার থেকে সরবরাহ হচ্ছে এক হাজার থেকে দেড় হাজার লিটার প্রতি সেকেন্ডে।

এদিকে সপ্তাহান্তে তেহরানের কর্তৃপক্ষ রাজধানীতে পানি সরবরাহে সম্ভাব্য রোলিং কাটের সতর্কতা জারি করেছে। কর্মকর্তারা এটিকে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ খরা বলে অভিহিত করেছেন। রাজধানীর পানীয় জল সরবরাহকারী পাঁচটি বড় জলাধার সমালোচনামূলক পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে একটি পুরোপুরি শুকিয়ে গেছে এবং আরেকটিতে মজুদ আট শতাংশের নিচে।

এসমাইলিয়ান বলেন, জনগণ যদি ব্যবহার ২০ শতাংশ কমাতে পারেন, তাহলে রেশনিং বা পানি বিচ্ছিন্ন ছাড়াই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তিনি সতর্ক করে বলেন, সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারীদের সরবরাহ প্রথমে বিচ্ছিন্ন করা হতে পারে।

দেশজুড়ে ১৯টি বড় জলাধার, যা মোট জলাধারের প্রায় ১০ শতাংশ, কার্যত শুকিয়ে গেছে। অক্টোবরের শেষ দিকে ইরানীয় ওয়াটার রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির আব্বাসালি কেইখাই মেহের সংবাদ সংস্থাকে এ তথ্য জানান।

প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সতর্ক করেছেন, শীতের আগে বৃষ্টি না হলে তেহরানকেও সরিয়ে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি হতে পারে। তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত বলেননি।

ইরানে পানি সংকটের পেছনে মাসব্যাপী খরা রয়েছে। গ্রীষ্মে কর্তৃপক্ষ তেহরানে পানি ও বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছিল। তীব্র তাপপ্রবাহে রাজধানীতে প্রায় প্রতিদিন বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে।

রোববার স্থানীয় পত্রিকাগুলো পরিবেশগত সিদ্ধান্তের রাজনীতিকরণের সমালোচনা করেছে। সংস্কারপন্থী ইতেমাদ পত্রিকা বলছে, যোগ্যতাহীন ব্যবস্থাপকদের মূল প্রতিষ্ঠানে নিয়োগই সংকটের প্রধান কারণ। আরেক সংস্কারপন্থী দৈনিক শার্ঘ বলেছে, জলবায়ুকে রাজনীতির জন্য বলি দেওয়া হচ্ছে।

সূত্র: এএফপি, রয়টার্স

  • বিষয়াদি সম্পর্কে আরও পড়ুন:
  • ইরান

RELATED NEWS

Latest News