রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে মঙ্গলবার ইসলামভীতি (ইসলামোফোবিয়া) ও বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস স্থাপনের বিরোধিতা করে সমাবেশ করেছে নতুন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ‘ইন্তিফাদা বাংলাদেশ’।
হাজারও মানুষ এই সমাবেশে যোগ দেন, যেখানে একাধিক ইসলামি পণ্ডিত, শিক্ষক, লেখক ও কর্মী বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা ভারতীয় প্রভাব, মার্কিন আগ্রাসন ও সাজানো জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে মুক্ত করার অঙ্গীকার করেন। পাশাপাশি ইসলামী দর্শনের ভিত্তিতে সমাজ প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
তারা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান এবং ইসলামবিরোধী সংস্কার বাতিলের আহ্বান করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, “আমরা ইসলামী জীবনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই এবং প্রয়োজনে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত।”
আরেক বক্তা, মাওলানা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমাদের [ইসলামপন্থীদের] উপর ধর্মনিরপেক্ষতার নামে নির্যাতন চালিয়েছে। আবারও একই ধরনের চেষ্টা চলছে – আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।”
তিনি চলমান সংস্কারকে বিকৃতি আখ্যা দিয়ে বলেন, “আমরা প্রকৃত সংস্কার চাই এবং ফ্যাসিবাদের সহযোগীদের শাস্তি চাই।”
সমাবেশের আয়োজক সৈয়দ মোহাম্মদ আমের বলেন, “ইন্তিফাদা বাংলাদেশ হলো একটি বৃহত্তর আন্দোলনের ক্ষুদ্র অংশ, যা মানুষকে নির্যাতনের দুষ্টচক্র থেকে মুক্ত করতে চায়। আমরা মানুষের পাশে থাকব এবং তাদের অধিকারের পক্ষে কথা বলব। মতের ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু আমরা তা পাশ কাটিয়ে অভিন্ন লক্ষ্যে একসাথে কাজ করব।”
আরেক আয়োজক আসিফ আদনান বলেন, বিদেশি প্রভাবের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে। তিনি বলেন, “আমরা গত জুলাইয়ে স্বৈরশাসককে সরিয়েছি, কিন্তু বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম চলবে। আমরা আমাদের অধিকার ও বিশ্বাসের জন্য লড়াই করব।”