Monday, June 23, 2025
Homeজাতীয়অন্তর্বর্তী সরকারের সংকট: ধর্মঘট, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা

অন্তর্বর্তী সরকারের সংকট: ধর্মঘট, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা

ঢাকা, ২৭ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুসের পদত্যাগের গুঞ্জন ঘিরে দেশের রাজনীতিতে যখন নানা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়, তখন বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তার বৈঠক পরিস্থিতিকে নতুন মোড় দেয়। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলো একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এতে রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও সরকারের সামনে নানা বাস্তব সংকট স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখন এক অস্থির বাস্তবতার মুখোমুখি। একদিকে রাজনৈতিক চাপ, অন্যদিকে অর্থনৈতিক এবং প্রশাসনিক অসন্তোষ—সব মিলিয়ে সরকার পড়েছে চ্যালেঞ্জের মুখে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন। তাদের মূল দাবি হলো বেতন বৃদ্ধি। শুধু শিক্ষকরা নন, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মচারীরাও তিনদিন ধরে কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের অভিযোগ, সরকার সম্প্রতি একটি অধ্যাদেশ জারি করেছে যার মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সহজেই, কোনো দীর্ঘ প্রক্রিয়া ছাড়াই, সরকারি কর্মচারীদের বরখাস্ত করতে পারবে। কর্মচারীরা একে দমনমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেখছেন।

এছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভেঙে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দুটি নতুন বিভাগ গঠনের ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। রাজস্ব কর্মকর্তাদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে শেষ পর্যন্ত সরকার সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়।

রয়টার্সের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, এই অন্তর্বর্তী সময়ে সরকারকে একসঙ্গে রাজনৈতিক সমঝোতা এবং কাঙ্ক্ষিত প্রশাসনিক সংস্কারের ভারসাম্য রক্ষা করতে হচ্ছে। তবে দুটি চাপে পড়ে সরকারের ভবিষ্যৎ ক্রমেই অনিশ্চয়তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং জনআস্থা অর্জনের জন্য সরকারকে শিগগিরই স্পষ্ট ও কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্যথায় প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক উভয় ক্ষেত্রেই অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে।

RELATED NEWS

Latest News