Monday, September 8, 2025
Homeজাতীয়জাতীয় নিরাপত্তায় রাজনৈতিক ঐক্যের ওপর জোর দিল অন্তর্বর্তী সরকার

জাতীয় নিরাপত্তায় রাজনৈতিক ঐক্যের ওপর জোর দিল অন্তর্বর্তী সরকার

প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে নির্বাচন ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও ষড়যন্ত্র প্রতিহত করার সিদ্ধান্ত

অন্তর্বর্তী সরকারের মুখপাত্র শফিকুল আলম বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য অপরিহার্য। তিনি জানিয়েছেন, কোনো ষড়যন্ত্রই দেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে দিতে পারবে না।

রোববার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জানান, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুসের সভাপতিত্বে রাষ্ট্র অতিথি ভবন জামুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সাম্প্রতিক ঘটনাবলি এবং জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়।

মুখপাত্র বলেন, “যখন ফ্যাসিবাদী শক্তি দেখে নির্বাচন এগিয়ে আসছে এবং জুলাই মাসের হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত এগোচ্ছে, তখন তারা অস্থির হয়ে উঠছে। এর ফলে তারা গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতে এবং শান্তি নষ্ট করতে সক্রিয় হচ্ছে। এটি এখন কেবল আইনশৃঙ্খলার বিষয় নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়।”

বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোরভাবে পরিস্থিতি সামলাতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শফিকুল আলম জানান, দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তার স্বার্থে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, “জুলাইয়ের আগে যে রাজনৈতিক ঐক্য অর্জিত হয়েছিল, তা বজায় রাখা জরুরি। নির্বাচনের আগে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”

সাম্প্রতিক সময়ে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক মিছিল করেছে। এ সময় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগলার দরবার শরিফে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে তার মরদেহ উত্তোলন করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনার তদন্তে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের মুখপাত্র জানান, হঠাৎ সমাবেশ ও মিছিল কঠোর নজরদারিতে আনা হবে এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, “আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কোনো শক্তিই এটি বিলম্বিত করতে পারবে না।”

দুর্গাপূজা ঘিরে সম্ভাব্য অস্থিরতা প্রতিরোধে আগাম পদক্ষেপের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়কে দেশের সব ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকে।

মুখপাত্র আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রাজবাড়ীর ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, গ্রেপ্তারদের মধ্যে অন্তত দুজন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত। ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা চলছে এবং জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

RELATED NEWS

Latest News