ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বুধবার শুরু হচ্ছে ইংল্যান্ড ও ভারতের মধ্যকার পঞ্চম ম্যাচের সিরিজের চতুর্থ টেস্ট। সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা ভারতের সামনে এই ম্যাচটি জিততে না পারলে ২০০৭ সালের পর ইংল্যান্ডে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের স্বপ্ন ভেঙে যাবে। আর তাই সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—ফিটনেস সমস্যায় থাকা জাসপ্রিত বুমরাহ কি খেলবেন এই ম্যাচে?
ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর আগেই জানিয়েছিলেন, পিঠের পুরনো ইনজুরির কারণে বুমরাহ সিরিজে কেবল তিনটি ম্যাচ খেলবেন। এখনো দুই ম্যাচ বাকি। তবে সহকারী কোচ রায়ান টেন ডেসকাটে জানিয়েছেন, “আমরা জানি, শেষ দুই টেস্টে তার একটিতে আমরা তাকে পাব। সিরিজ এখন ম্যানচেস্টারে নির্ধারিত হতে পারে, তাই তাকে খেলানোর দিকেই ঝুঁকছে দল।”
বুমরাহ প্রথম ও তৃতীয় টেস্টে খেলেছিলেন, যেখানে ভারত হেরেছে। দ্বিতীয় টেস্টে বিশ্রামে ছিলেন, এবং ভারত জয় পায়। ইনজুরির তালিকায় আরও রয়েছেন অলরাউন্ডার নীতিশ কুমার রেড্ডি ও পেসার অর্জদীপ সিং। ফলে বুমরাহকে দলে রাখার চাপ বেড়েছে।
অন্যদিকে ইংল্যান্ড ঘরের মাঠে সিরিজ নিশ্চিত করতে চায়। তবে ব্যাটিং লাইনআপে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ওপেনার জ্যাক ক্রলি লর্ডসে ১৮ ও ২২ রানে ফিরেছেন, তার সঙ্গী বেন ডাকেট করেন ২৩ ও ১২। তিন নম্বরে থাকা ওলি পোপ প্রথম ইনিংসে ৪৪ করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৪ রানে আউট হন।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস অবশ্য ক্রলি-ডাকেট জুটিতে আস্থা রাখছেন। তিনি বলেন, “একজন ডানহাতি, একজন বাঁহাতি। একজন লম্বা, একজন নয়। এটা বোলারদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।”
তৃতীয় টেস্টে স্টোকসের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সই ইংল্যান্ডকে জয় এনে দেয়। তিনি করেন ৭৭ রান, নেন ৫ উইকেট এবং গুরুত্বপূর্ণ এক রান আউট করেন রিশাভ পন্তকে।
জো রুট বলেন, “সে নিজের শরীরকে চাপ দিয়েও ৪৪ ওভার বল করেছে। এটা অবিশ্বাস্য মানসিকতা। ও এমন একজন, যে পরিস্থিতি বদলে দিতে চায়।”
ভারতের জন্য ম্যাচে সবচেয়ে বড় ভরসা রবীন্দ্র জাদেজা। ৩৬ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার লর্ডসে খেলেন ৬১ রানের অপরাজিত ইনিংস এবং ম্যাচে দলের একমাত্র ভরসার মুখ হয়ে উঠেন।
ভারতের ব্যাটিং কোচ সিতাংশু কোটাক বলেন, “ওর অভিজ্ঞতা যেকোনো কঠিন কন্ডিশনে দলের জন্য দারুণ কার্যকর। চাপে খেলার অসাধারণ ক্ষমতা আছে ওর।”
সিরিজ বাঁচাতে হলে ভারতকে জিততেই হবে ম্যানচেস্টারে। বুমরাহকে খেলানোর ঝুঁকি নেবে কিনা, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। অন্যদিকে, ইংল্যান্ড চাইবে ঘরের মাঠেই সিরিজ নিশ্চিত করতে। দুই দলের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চরমে। সিদ্ধান্ত আসবে মাঠেই।