যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি ও কিছু অটো পার্টস আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের জবাবে পাল্টা শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে ভারত। এই প্রস্তাব শুক্রবার বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও)-তে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে নয়া দিল্লি।
ভারত জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপে ভারতের মোট ২.৮৯ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি বাণিজ্য ঝুঁকির মুখে পড়বে। ডব্লিউটিওতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “ভারত তার বাণিজ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাবের সমতুল্য পরিমাণে শুল্ক বা অন্যান্য বাণিজ্যিক সুবিধা স্থগিত রাখার অধিকার সংরক্ষণ করে।”
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এই শুল্কে প্রতি বছর প্রায় ৭২৫ মিলিয়ন ডলার শুল্ক আদায় করা হবে। এর পাল্টা হিসেবে ভারতও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত পণ্যে একই পরিমাণ শুল্ক আদায়ের পরিকল্পনা করছে।
তবে ভারত এখনও নির্দিষ্ট করে জানায়নি যে, তারা কোন পণ্যে শুল্ক আরোপ করবে বা শুল্কহার কত হবে।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই দুই দেশের মধ্যে একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৯ জুলাইয়ের মধ্যে চুক্তি না হলে ভারতের সব আমদানিকৃত পণ্যের উপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
চুক্তি অর্জনের চেষ্টা হিসেবে ভারত তাদের উচ্চ শুল্কহার কিছুটা কমাতে আগ্রহ দেখালেও, কৃষি ও দুগ্ধ খাত খোলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চাপে এখনো সম্মতি দেয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, এই টানাপড়েন শুধু দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। তবে উভয় দেশ সমঝোতার মাধ্যমে সমাধানের পথে হাঁটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।