ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৫, ০৭:৩২
বিজনেস ডেস্ক
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যালোচনার ওপর স্টাফ-লেভেল পর্যায়ে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশ ১.৩ বিলিয়ন ডলারের নতুন সহায়তা পেতে যাচ্ছে।
বুধবার (১৪ মে) ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আইএমএফের মিশনপ্রধান পিটার পাপাগেওর্গিও এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, চলমান অর্থনৈতিক চাপ ও বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকার অতিরিক্ত ৭৬২ মিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছে, যা ইসিএফ (Extended Credit Facility) ও ইএফএফ (Extended Fund Facility)-এর আওতায় দেওয়া হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ইসিএফ ও ইএফএফ মিলিয়ে ৪.১ বিলিয়ন ডলার এবং আরএসএফ (Resilience and Sustainability Facility) থেকে ১.৩ বিলিয়ন ডলার পাবে।
আইএমএফের পূর্বাভাস বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৩ শতাংশে নেমে এলেও দ্বিতীয়ার্ধে তা ৩.৮ শতাংশে উন্নীত হতে পারে। মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৮.৫ শতাংশে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
সংস্থাটি বলছে, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য রাজস্ব সংস্কার, কর অব্যাহতির পর্যালোচনা, অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হ্রাস, কঠোর মুদ্রানীতি এবং বাজারভিত্তিক বিনিময় হার প্রবর্তন জরুরি। বিশেষভাবে ব্যাংক খাতে দুর্বল আর্থিক প্রতিষ্ঠান শনাক্ত করে কাঠামোগত সংস্কার এবং নতুন আইন প্রয়োগে জোর দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বচ্ছতা ও স্বাধীনতা বাড়ানো, জলবায়ু অভিযোজন বিনিয়োগ ও সংস্কারেও গুরুত্ব আরোপ করেছে আইএমএফ।
এই স্টাফ-লেভেল চুক্তি এখন সংস্থাটির নির্বাহী বোর্ডে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এর আগে বাংলাদেশকে রাজস্ব আহরণ ও বিনিময় হার সংস্কার বাস্তবায়নে নির্ধারিত অগ্রগতি দেখাতে হবে।
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঋণ ছাড় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি আনবে এবং বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে।