পাকিস্তানের হায়দরাবাদে একটি আতশবাজি কারখানায় শক্তিশালী বিস্ফোরণে কমপক্ষে ছয়জন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে লতিফাবাদ এলাকার লাঘারি গোথ নদীর তীরে অবস্থিত কারখানায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
হায়দরাবাদের ডেপুটি কমিশনার জয়নুল আবিদীন মেমন জানান, ঘটনাস্থল থেকে পাঁচটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত সাতজনের মধ্যে তিনজনের অবস্থা উদ্বেগজনক। বিস্ফোরণের পরপরই কারখানায় আগুন ধরে যায়, তবে দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
রেসকিউ ১১২২-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিস্ফোরণের পর একটি কক্ষ ধসে পড়ে এবং সীমানা প্রাচীরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেখানে কিছু শ্রমিক ও শিশুর কাজ করার খবর থাকায় উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে খোঁজ চালাচ্ছেন।
লতিফাবাদের সহকারী কমিশনার সৌদ লুন্ড জানান, কারখানাটি একটি বাড়িতে অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল। তিনি বলেন, “উদ্ধার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রকৃত অবস্থা বলা যাবে না।”
হায়দরাবাদের এসএসপি আদিল চানদিও বলেন, কারখানার লাইসেন্স বৈধ কি না তা যাচাই করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে মালিক উপস্থিত না থাকায় তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। তিনি আরও জানান, উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আরও লাশের সন্ধান করছেন।
ডেপুটি কমিশনার জয়ন বলেন, বিস্ফোরণের শক্তি এতটাই বেশি ছিল যে ভবনের ইট কয়েক মিটার দূরে গিয়ে পড়েছে। তিনি জানান, একটি গুদামঘর ধসে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং রেসকিউ কর্মীরা এখনও জায়গাটি পরিষ্কার করার কাজ করছেন।
লিয়াকত বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. বীনেশ কুমার জানান, একজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছে। ছয়জনকে পোড়া বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের কারও কারও দেহের ১০০ শতাংশ পর্যন্ত পুড়ে গেছে।
এদিকে, সিন্দ প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জিয়াউল হাসান লানজার ঘটনাটির কঠোর নিন্দা জানিয়ে বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট চেয়েছেন। তিনি বলেন, কারখানাটি বৈধ লাইসেন্স ও নিরাপত্তা নীতিমালা অনুসরণ করছিল কি না তা অবিলম্বে যাচাই করতে হবে। মানুষের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এমন কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না।
