জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-২ (র্যাব-২) এর যৌথ অভিযানে রাজধানীর উত্তরায় আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের হোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার রাতে উত্তরার সেক্টর-১১ এ চক্রের প্রধান আমিনুল ইসলামের বাসায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় আমিনুল ইসলাম (৪৬) ছাড়াও আবদুল হাকিম (৩৫), মোহাম্মদ নূর ইসলাম (৩২), আসাদুজ্জামান (৩৫) ও মোহাম্মদ শহরিয়ার শেখ মুরাদ (৪২) গ্রেপ্তার হন।
অভিযানে নয়টি পাসপোর্ট, দশটি স্মার্টফোন, একটি বেসিক ফোন এবং মানবপাচার থেকে প্রাপ্ত ১ কোটি ৫৬ লাখ টাকা নগদ জব্দ করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানিয়েছে, চক্রের অন্য সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মানবপাচার দমন ও প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এবং দণ্ডবিধির প্রাসঙ্গিক ধারায় গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, আমিনুলের নেতৃত্বাধীন এই চক্র দীর্ঘদিন ধরে বেকার যুবকদের মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণা করে আসছিল। তারা প্রতি ব্যক্তির কাছ থেকে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায় করত। এ কাজে জাল পাসপোর্ট ও ভিসা ব্যবহার করা হতো।
ভুক্তভোগীদের প্রথমে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়ে পরে মিশর ও লিবিয়া হয়ে অবৈধ সমুদ্রপথে ইউরোপে পাঠানো হতো।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, অভিযোগকারীর ভাই জাহিদ হোসেনের (৪২) কাছ থেকে ইতালি পাঠানোর কথা বলে ২০ লাখ টাকা নেন আমিনুল। পরে গত ১৩ জুলাই জাহিদকে মদিনা হয়ে মিশরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।