Tuesday, July 8, 2025
Homeআন্তর্জাতিকরেড সাগরে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গ্রিসের মালিকানাধীন বাণিজ্যিক জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত

রেড সাগরে হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গ্রিসের মালিকানাধীন বাণিজ্যিক জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত

ইসরায়েলে নোঙর করায় 'লক্ষ্যবস্তু' হওয়ার দাবি হুথিদের

ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা রেড সাগরে একটি গ্রিক মালিকানাধীন বাণিজ্যিক জাহাজে হামলার দায় স্বীকার করেছে। এতে জাহাজটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ক্রুরা জাহাজ ত্যাগে বাধ্য হন। কয়েক মাসের মধ্যে এটি তাদের প্রথম বড় ধরনের হামলা বলে জানানো হয়েছে।

হুথিদের দাবি, লিবারিয়ার পতাকাবাহী ‘ম্যাজিক সিস’ নামের জাহাজটি অতীতে ইসরায়েলে নোঙর করেছিল। সে কারণেই এটি তাদের টার্গেট ছিল। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, জাহাজটিকে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও চালকবিহীন নৌযানের মাধ্যমে আঘাত করা হয়।

হুথি সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, “আমরা ম্যাজিক সিস জাহাজে দুটি চালকবিহীন নৌযান, পাঁচটি ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং তিনটি ড্রোন ব্যবহার করেছি। জাহাজটি সরাসরি আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে এবং ডুবতে পারে এমন ঝুঁকিতে রয়েছে।”

তিনি আরও জানান, “যেসব কোম্পানি ইসরায়েলের সঙ্গে ব্যবসা করেছে, তাদের জাহাজগুলো বৈধ লক্ষ্যবস্তু।”

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হুথি গোষ্ঠী ইসরায়েল ও বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে আসছে। এতে করে রেড সাগর ও অ্যাডেন উপসাগর দিয়ে চলাচলকারী বহু শিপিং কোম্পানি দক্ষিণ আফ্রিকার ঘূর্ণিপথ অবলম্বন করতে বাধ্য হয়েছে, যা তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ।

রোববারের হামলার পর ব্রিটিশ নৌবাহিনীর অধীনে পরিচালিত ইউকে মেরিটাইম ট্রেড অপারেশন জানায়, ছোট নৌকায় আসা বন্দুকধারীরা জাহাজটিতে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র ও রকেট প্রপেলড গ্রেনেড দিয়ে গুলি চালায়। পরে একটি পাশ দিয়ে যাওয়া বাণিজ্যিক জাহাজ ম্যাজিক সিস-এর ক্রুদের উদ্ধার করে।

ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানায়, তারা হুথিদের সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে বিমান হামলা চালিয়েছে। এতে হোডেইদা বন্দর শহরসহ আশপাশের এলাকায় হামলা হয়।

এছাড়াও, ইসরায়েল জানায়, তারা ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামের একটি কার্গো জাহাজে হামলা করেছে, যেটি ২০২৩ সালের নভেম্বরে হুথিরা দখলে নিয়েছিল।

পরবর্তীতে হুথিরা ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ও হুথি মুখপাত্র।

হুথিরা আগেই জানিয়েছিল, তারা “ইসরায়েলি জাহাজ” লক্ষ্যবস্তু করতে থাকবে, যদিও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাদের একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির চুক্তি রয়েছে যা রেড সাগরে মুক্ত নৌচলাচল নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল।

RELATED NEWS

Latest News