আজ হোলি আর্টিজান বেকারিতে সংঘটিত জঙ্গি হামলার ৯ম বার্ষিকী। ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে ঢাকার গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ভয়াবহ হামলায় ২২ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ১৭ জনই বিদেশি নাগরিক।
এই হামলায় প্রাণ হারান তিনজন বাংলাদেশি, সাতজন জাপানি, নয়জন ইতালীয় এবং একজন ভারতীয় নাগরিক। উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়ে পুলিশের দুই সদস্যও নিহত হন।
হামলার তিনদিন পর গুলশান থানায় উপ-পরিদর্শক রিপন কুমার দাস সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত ও বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে ২০১৯ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল সাতজন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত সাতজন হলেন: রাকিবুল হাসান রেগান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে রাজীব গান্ধী, আসলাম হোসেন ওরফে রাশ, হাদিসুর রহমান, মো. আবদুস সাবুর খান ওরফে সোহেল মাহফুজ, মামুনুর রশিদ ওরফে রিপন এবং শরীফুল ইসলাম খালেদ।
চার বছর পর, ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের বিচারপতি শাহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চ তাদের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে দেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে। ২০২৪ সালের ১৭ জুন পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে হাইকোর্ট।
রায়ে বলা হয়, “হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতা, ঘটনাস্থলে সন্ত্রাসীদের নির্মম আচরণ এবং আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার প্রেক্ষাপটে, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে।”
এ বছরের মে মাসে দণ্ডপ্রাপ্ত সাতজনের মধ্যে ছয়জন সুপ্রিম কোর্টে লিভ টু আপিল দায়ের করেন, যাতে তারা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন।
হোলি আর্টিজান হামলা বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ জঙ্গি হামলা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে, যা দেশি-বিদেশি পর্যায়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছিল। বার্ষিকী উপলক্ষে আজ বিভিন্ন স্থানে নিহতদের স্মরণে আয়োজন হয়েছে নানা কর্মসূচি।