চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বঙ্গোপসাগরে মা হিলসার প্রজনন সুরক্ষায় ২২ দিনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা শুরু হচ্ছে ২ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এই সময় মা হিলসাকে সুরক্ষিত রাখতে মিরসারি উপজেলা থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১৪০ কিলোমিটার এলাকা ইলিশ সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এই এলাকায় মাছ ধরা, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও সংরক্ষণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, প্রশাসন এবং মৎস্য অধিদপ্তর মিলিতভাবে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। চট্টগ্রাম পুলিশ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৎস্য আইনের অধীনে অপরাধীরা দুই বছরের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন।
নিষিদ্ধকালীন সময়ে সীতাকুণ্ড, আনোয়ারা, বাঁশখালি, মোশেসখালি ও কুতুবদিয়া এলাকার এক লাখের বেশি নিবন্ধিত জেলে, যারা ইলিশ এবং অন্যান্য মাছ ধরার উপর নির্ভরশীল, তাদের প্রত্যেকে ৪০ কেজি খাদ্য সহায়তা পাবেন। বিতরণ আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে।
চট্টগ্রামের কার্যনির্বাহী ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জেলেদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মা ইলিশকে নিরাপদে প্রজননের সুযোগ দিলে ভবিষ্যতে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
বাঁশখালির জেলে কামাল উদ্দিন বলেন, সরকারী নিষেধাজ্ঞা মেনে তারা ইতিমধ্যেই নৌকা ও জাল তীরে তুলে এনেছেন। ফ্রিঙ্গি বাজারের মাছ ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান জানান, তারা সংরক্ষিত মাছের গোডাউন খালি করছেন, তবে কিছু জেলে এখনও নদীতে যাচ্ছেন আয়ের জন্য। তিনি বলেন, প্রশাসনের উপস্থিতি থাকলে এ অভিযান আরও কার্যকর হবে।