সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০২৫ সংশোধনের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষকের পদ বাদ দেওয়া হয়েছিল।
সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মো. আসিফ হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) চেয়ারম্যানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিট আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সারওয়াত সিরাজ শুক্লা। তিনি আদালতে আবেদনের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন।
গত ২ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে নতুন গেজেট প্রকাশ করে। এতে সংগীত ও শারীরিক শিক্ষকের পদ বাদ দিয়ে শুধু প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদ রাখা হয়।
মূল নিয়োগ বিধিমালা প্রকাশিত হয়েছিল গত ২২ আগস্ট। সেখানে সূচি-১ অনুযায়ী চারটি পদ ছিল—প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক (সংগীত) ও সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)।
নতুন সংশোধিত বিধিমালায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষকের পদ সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মেধাভিত্তিক নিয়োগে একটি ভাষাগত ত্রুটি সংশোধন করে বলা হয়েছে, সাধারণ পদগুলোর ৮০ শতাংশ ‘বিজ্ঞান ও অন্যান্য বিষয়ে’ ডিগ্রিধারীদের মাধ্যমে পূরণ করা যাবে।
বিধিমালার এই পরিবর্তন নিয়ে দেশের বিভিন্ন মহলে সমালোচনা দেখা দেয়। কয়েকটি ইসলামি সংগঠনের চাপ ও ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সংযোজনের দাবির পরই সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে জানা গেছে।
সমালোচকরা বলছেন, সংগীত ও শারীরিক শিক্ষার মতো সৃজনশীল ও প্রয়োজনীয় বিষয় বাদ দেওয়া হলে শিশুদের সামগ্রিক বিকাশ ব্যাহত হবে।
