২০০৮ সালে অস্কারজয়ী সিনেমা ‘মিল্ক’-এর জন্য প্রশংসিত পরিচালক ডাস্টিন ল্যান্স ব্ল্যাক ও অভিনেতা শন পেন সম্প্রতি মুখ খুলেছেন একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ ইউএসএনএস হার্ভি মিল্ক জাহাজটির নাম পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত ঘিরে তৈরি হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা।
ব্ল্যাক বলেন, “এটি আরেকটি কৌশলী পদক্ষেপ, যা দেশের নাগরিকদের বিভক্ত করার জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। এটি আমাদের নিজেদের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন করার একটি প্রচেষ্টা।”
শন পেনও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি কখনো এমন প্রতিরক্ষা সচিব দেখিনি, যিনি নিজেকে এতটা নিচু পদে নামিয়ে আনেন।”
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সান ডিয়েগোতে ইউএসএনএস হার্ভি মিল্ক নামকরণ করা হয়। ১৯৭৮ সালে নিহত এই সমকামী অধিকারকর্মী ও সান ফ্রান্সিসকোর সুপারভাইজর ছিলেন মার্কিন নৌবাহিনীর সদস্যও। হার্ভি মিল্ক মার্কিন ইতিহাসে প্রথম প্রকাশ্য সমকামী নির্বাচিত কর্মকর্তা।
পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “প্রতিরক্ষা বিভাগের সব সম্পদের নামকরণ প্রেসিডেন্টের নীতিমালা ও জাতির ইতিহাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে সচিব হেগসেথ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” তবে, ব্ল্যাক একে ক্ষুদ্র মনোভাব বলে অভিহিত করেন।
তিনি বলেন, “আমি চাই সচিব হেগসেথ এমন কিছু এলজিবিটিকিউ ব্যক্তিদের সাথে দেখা করুন, যারা প্রতিদিন নিজেদের পরিচয় নিয়েই সংগ্রাম করে বেঁচে আছেন।”
‘মিল্ক’ ছবির মাধ্যমে ব্ল্যাক এবং পেন দুজনেই অস্কার অর্জন করেন। ছবিটি হার্ভি মিল্কের রাজনৈতিক যাত্রা এবং হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে নির্মিত। ব্ল্যাক জানান, “হার্ভি মিল্কের কাজ শুধুই গে অধিকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি বর্ণ ও জাতিগত সংখ্যালঘু, দরিদ্র, বয়স্ক, ইউনিয়ন কর্মী সবার জন্য আওয়াজ তুলেছিলেন।”
শেষে ব্ল্যাক বলেন, “জাহাজের নাম বদলালেই ইতিহাস বদলাবে না। যদি কেউ ক্ষুব্ধ হন, তাহলে উপযুক্ত প্রতিবাদ করুন। হার্ভি মিল্ক আমাদের শেখাতে চেয়েছিলেন, সবাইকে একত্রিত হয়ে লড়তে হবে।”