পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে বাংলাদেশ। সিরিজের শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে শতরান তুলে নেন মোহাম্মদ হারিস। তার ইনিংসেই নিশ্চিত হয় টাইগারদের টানা তৃতীয় হার। ফলে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজে হার মানতে হলো লিটন দাসের নেতৃত্বাধীন দলকে।
প্রথম ইনিংসে পারভেজ ইমন এবং তানজিদ তামিমের ঝকঝকে শুরুতে বড় সংগ্রহের আভাস মিললেও ডেথ ওভারে গতি হারায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১৯৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে টাইগাররা। কিন্তু বোলারদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সে তা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
পাকিস্তানের ইনিংসের শুরু থেকেই ব্যাট হাতে আগ্রাসী ছিলেন মোহাম্মদ হারিস। তাকে সঙ্গ দেন ওপেনার সাইম আইয়ুব। প্রথম পাওয়ার প্লে’তেই পাকিস্তান তোলে ৫৬ রান। এরপরও থামেনি রানের গতি। একের পর এক বাউন্ডারিতে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশের বোলাররা।
টিম ডেবিউ করা পেসার খালেদ আহমেদ শুরুতে কিছুটা ভালো করলেও পরে নিয়ন্ত্রণ হারান। অন্যদিকে মেহেদী হাসান মিরাজ গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে উইকেট তুললেও ম্যাচের রাশ নিজের হাতে নিতে পারেননি। ফিল্ডিংয়ে শামিম পাটোয়ারি আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন। তার রক্ত ঝরানো প্রচেষ্টাও রক্ষা করতে পারেনি দলের সম্মান।
৪৫ রান করা সাইম আইয়ুবকে আউট করে একমাত্র ব্রেকথ্রু এনে দেন তানজিম হাসান সাকিব। তবে এরপর নাওয়াজের সঙ্গে হারিস গড়ে তোলেন জয় নিশ্চিত করা জুটি। নাওয়াজ দ্রুত ২৬ রান করে আউট হলেও হারিস রয়ে যান অবিচল। শেষ পর্যন্ত ১০০ রান করে ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
বাংলাদেশের হার এখানে শেষ নয়। তিন ম্যাচেই পরাজয়ের ফলে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হলো টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে ভালো সূচনা করেও ব্যাটিং ধস এবং বল হাতে বারবার সুযোগ হাতছাড়া করার খেসারত দিতে হলো লিটন দাসের দলকে।
ক্রিকেট বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ডেথ ওভারে ব্যাটিং ব্যর্থতা, দুর্বল ফিল্ডিং ও পরিকল্পনার ঘাটতির কারণেই ম্যাচ হাতছাড়া হয়েছে। এমন হারের পর দল পুনর্গঠনের আহ্বান উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
টাইগারদের সামনে এখন শুধুই বিশ্লেষণ নয়, আত্মসমালোচনা করে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর সময়। কারণ আন্তর্জাতিক মঞ্চে এভাবে বারবার হোয়াইটওয়াশ হওয়া জাতীয় দলের আত্মবিশ্বাসে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।