দীর্ঘ ভ্রমণও থামাতে পারেনি হামজা চৌধুরীকে। শনিবার রাতে লেস্টার সিটির ম্যাচ শেষে, যেখানে তিনি মূল একাদশে ছিলেন না, ইংল্যান্ড থেকে ১৬ ঘণ্টার যাত্রা শেষে সোমবার সকাল ১১টায় ঢাকায় পৌঁছান তিনি। বিশ্রামের সুযোগ না নিয়েই সরাসরি জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেন এই মিডফিল্ডার। বিকেলে সতীর্থদের সঙ্গে অনুশীলনে অংশ নেন, মুখে ছিল হাসি আর চোখে দৃঢ়তা।
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল বৃহস্পতিবার ঢাকায় এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে হংকংয়ের মুখোমুখি হবে। এরপর ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে অ্যাওয়ে ম্যাচ।
দুই ম্যাচেই খেলবেন হামজা চৌধুরী। দীর্ঘ ফ্লাইট ও ক্লান্তি উপেক্ষা করে তিনি মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন দলীয় সূত্র। একই সঙ্গে কানাডা থেকে আসছেন সামিত সোম, যিনি বুধবার দলে যোগ দেবেন এবং বৃহস্পতিবারের ম্যাচে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অনুশীলনের আগে এক ভিডিও বার্তায় হামজা বলেন, “ভ্রমণটা দীর্ঘ ছিল, কিন্তু আমরা সবাই ভালোভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করি, সবাই আমাদের পাশে থাকবে। ইনশাআল্লাহ, আমরা জিতব।”
মাঠে তিনি অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গে কথা বলেন, আর সতীর্থরা করতালিতে স্বাগত জানান তাঁকে। কোচিং স্টাফও সন্তুষ্ট হামজার এমন মনোভাব ও শারীরিক প্রস্তুতি দেখে।
সোমবার শুরু হওয়া ক্যাম্পে শুরুতে ২৮ জন খেলোয়াড় ছিলেন। পরে আরও দুইজন যোগ দেন। চোটের কারণে সুমন রেজা ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম ক্যাম্প ছেড়েছেন, তবে টপু বর্মণ এখনো পর্যবেক্ষণে আছেন। অন্যদিকে, তারিক কাজী ও আল আমিন পূর্ণ অনুশীলনে ফিরেছেন, যা দলের প্রস্তুতিকে আরও শক্তিশালী করেছে।
জাতীয় স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবারের ম্যাচকে সামনে রেখে দল এখন সম্পূর্ণ ফোকাসড। খেলোয়াড়দের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ছে, বিশেষ করে হামজার উপস্থিতিতে। কোচিং টিমও আশাবাদী যে এই ম্যাচে বাংলাদেশ লড়াকু পারফরম্যান্স দেখাবে।