গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত পরিকল্পনার কিছু অংশে সম্মতি জানিয়েছে ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস। তবে অস্ত্র সমর্পণসহ কয়েকটি বিষয়ে তারা আপত্তি তুলেছে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চায়।
শুক্রবার আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জ্যেষ্ঠ হামাস নেতা মুসা আবু মারজুক জানান, ইসরায়েলি দখল শেষ না হওয়া পর্যন্ত হামাস নিরস্ত্র হবে না। তিনি বলেন, গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি কেবল আন্তর্জাতিক মহল নয়, বরং ফিলিস্তিনি জাতীয় কাঠামোর মধ্যেই আলোচনা হওয়া উচিত।
রয়টার্সের হাতে আসা এক বিবৃতিতে দেখা যায়, ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবের জবাব দিয়েছে হামাস। পরিকল্পনায় যুদ্ধবিরতি, বন্দি বিনিময়, মানবিক সহায়তা প্রবেশ এবং ধাপে ধাপে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয় রয়েছে।
হামাস জানায়, তারা সব ইসরায়েলি বন্দি ও মৃতদেহ মুক্তি দিতে রাজি, তবে তা ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বিনিময় সূত্র ও মাঠ পর্যায়ের শর্ত অনুযায়ী হবে। সংগঠনটি মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনায় বসার প্রস্তুতিও জানিয়েছে।
গাজা প্রশাসন পরিচালনা প্রসঙ্গে হামাস বলেছে, তারা একটি নিরপেক্ষ ফিলিস্তিনি টেকনোক্র্যাট প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে সম্মত, যদি তা জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে গঠিত হয় এবং আরব ও ইসলামী দেশগুলোর সমর্থন পায়।
যদিও অস্ত্র সমর্পণের বিষয়ে হামাস স্পষ্ট সম্মতি দেয়নি। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী এটি পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান শর্ত। এ নিয়ে সংগঠনটির অবস্থান আগের মতোই অনড়।
হোয়াইট হাউস হামাসের প্রতিক্রিয়া নিয়ে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে পরিকল্পনাটিকে সমর্থন দিয়েছে ইসরায়েলসহ কয়েকটি আরব ও ইউরোপীয় দেশ।
বিশ্লেষকদের মতে, হামাসের এই আংশিক সমর্থন আলোচনার সুযোগ তৈরি করলেও অস্ত্র সমর্পণ ও গাজা প্রশাসনের ভবিষ্যৎ নিয়ে মতপার্থক্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
