গাজা সিটিতে নিরাপত্তা অভিযান চালিয়ে ৩২ জনকে হত্যা করেছে হামাস বাহিনী। এ সময় সংঘর্ষে হামাসের ছয় সদস্যও নিহত হয়েছেন বলে এক ফিলিস্তিনি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে। শুক্রবার যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এই অভিযান শুরু হয়।
সূত্র জানায়, অভিযানের লক্ষ্য ছিল শহরের একটি পরিবারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট “বিপজ্জনক অপরাধী চক্রের” সদস্যদের আটক করা। এ ঘটনায় ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও ৩০ জন।
দুই বছর ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে চলা যুদ্ধে সাময়িক বিরতির পর হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিরাপত্তা শূন্যতা তৈরি হওয়া ঠেকাতেই এই অভিযান চালানো হচ্ছে, যাতে লুটপাট বা বিশৃঙ্খলা না ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হামাসকে নিরস্ত্র হতে বললেও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বজায় রাখতে সীমিত সময়ের জন্য তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানান। ট্রাম্প বলেন, “আমরা চাই তারা সমস্যা বন্ধ করুক, তাই আমরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অনুমোদন দিয়েছি।”
সোমবার হামাস গাজা জুড়ে যোদ্ধা মোতায়েন করে। ওই সময় অক্টোবর ৭ তারিখে আটক বন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়া চলছিল। রويটার্সের ফুটেজে দেখা গেছে, দক্ষিণ গাজার একটি হাসপাতালে হামাস যোদ্ধারা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন কাসেম ব্রিগেডসের ‘শ্যাডো ইউনিট’-এর সদস্য, যারা বন্দিদের পাহারা দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছে।
ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রেড ক্রসের সহায়তায় তারা গাজা থেকে প্রথম সাতজন জীবিত বন্দিকে গ্রহণ করেছে। বাকি ১৩ জন জীবিত বন্দি, ২৬ জন মৃত এবং আরও দুইজনের বিষয়ে তথ্য অজানা থাকলেও তাদের মুক্তির প্রক্রিয়া সোমবারের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। একই সময় প্রায় ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দি ও দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিকেও মুক্তি দেওয়া হবে।
বন্দি বিনিময়ের এই ধাপটি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের গাজা যুদ্ধ সমাপ্তির পরিকল্পনার প্রথম অংশ। শুক্রবার থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি এখনও বহাল রয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং গাজার নিয়ন্ত্রণ কাঠামো নিয়ে আলোচনা হবে।