হামাসের একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, গাজায় সাময়িক সময়কালে নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ রাখার পরিকল্পনা রয়েছে, তবে অস্ত্র হস্তান্তরের বিষয়ে তারা কোনো স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দিতে পারেনি। এই অবস্থান মার্কিন পরিকল্পনাকে জটিল করছে, যা গাজার যুদ্ধে পূর্ণ শান্তি আনার লক্ষ্য রাখে।
হামাস পলিটবুরো সদস্য মোহাম্মদ নাজ্জাল দোহা থেকে রয়টারের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “এই হস্তক্ষেপকালে হামাস থাকবে, তবে অস্ত্র হস্তান্তর প্রক্রিয়া নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপর।” তিনি ৫ বছরের শান্তিচুক্তির জন্যও রাজি, যাতে গাজা পুনর্গঠন সম্ভব হয়।
নাজ্জাল দাবি করেছেন, সোমবার হামাস গাজায় অপরাধীদের বিরুদ্ধে গণপাচারের মতো “অসাধারণ” পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, “যুদ্ধ চলাকালীন সবসময় ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা থাকে, যারা হত্যা করেছে তাদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা অনুযায়ী হামাসকে প্রথমে সব বন্দি মুক্ত করতে হবে, তারপর অস্ত্র হস্তান্তর ও গাজার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ তত্ত্বাবধায়ক কমিটির হাতে সোপর্দ করতে হবে। তবে নাজ্জাল স্পষ্টভাবে বলেননি, তারা অস্ত্র ছাড়বে কি না।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী অফিসও জানিয়েছে, তারা শান্তিচুক্তি পূর্ণভাবে অনুসরণ করছে। অফিসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “হামাসকে সমস্ত বন্দিকে মুক্ত করতে হবে এবং অস্ত্র হস্তান্তর করতে হবে। তারা এখনও তা করেনি। তাদের সময় কমছে।”
নাজ্জাল বলেন, পরবর্তী আলোচনায় অস্ত্রসহ অন্যান্য বিষয়গুলো শুধু হামাস নয়, অন্যান্য সশস্ত্র ফ্রন্টের সঙ্গে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি আরও জানান, বর্তমানে ২৮টি মৃত বন্দির মধ্যে কমপক্ষে ৯টি হস্তান্তর করা হয়েছে। আরও কিছু উদ্ধারে প্রযুক্তিগত সমস্যা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারী যেমন তুরস্ক বা যুক্তরাষ্ট্র সাহায্য করবে।
হামাসের প্রতিষ্ঠাতা চাটার অনুযায়ী, তারা ইসরায়েল ধ্বংসের লক্ষ্য রাখে। তবে নাজ্জাল বলেছেন, দীর্ঘমেয়াদী অন্তত ৩–৫ বছরের শান্তিচুক্তি প্রস্তাব রয়েছে, যার উদ্দেশ্য গাজা পুনর্গঠন। পরে ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দিতে হবে যাতে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্রের আশা থাকে।