সৌদি আরব থেকে হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন মোট ৩৬ হাজার ৬০১ জন বাংলাদেশি হাজি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ঢাকা হজ অফিস।
চলতি বছরের হজ অনুষ্ঠিত হয়েছে ৫ জুন। এখন পর্যন্ত ফিরতি ফ্লাইটে যারা দেশে এসেছেন, তাঁদের মধ্যে ৫ হাজার ৬ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং ৩১ হাজার ৫৯৫ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে গিয়েছিলেন।
আজকের নির্ধারিত ফ্লাইট অনুযায়ী, আরও ১ হাজার ৬৩১ জন হাজি চারটি ভিন্ন ফ্লাইটে ঢাকায় আসবেন। সব মিলিয়ে ফিরতি হাজির সংখ্যা দাঁড়াবে ৩৮ হাজার ২৩২ জন এবং মোট ফ্লাইট সংখ্যা হবে ৯৬টি।
ঢাকা হজ অফিস জানিয়েছে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৩৬টি ফ্লাইটে ১৪ হাজার ১৮২ জন হাজিকে দেশে ফিরিয়েছে। সৌদি এয়ারলাইন্স ৩৯টি ফ্লাইটে ফিরিয়েছে ১৫ হাজার ৪৫৮ জনকে। এছাড়া সৌদি ভিত্তিক ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ১৮টি ফ্লাইটে ফিরিয়েছে ৬ হাজার ৯৬১ জনকে।
চলতি মৌসুমে হজ ফ্লাইট শুরু হয়েছিল ২৯ এপ্রিল এবং শেষ হয় ৩১ মে। আর ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়েছে ১০ জুন থেকে এবং চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত।
হজ মিশনের তথ্যমতে, হজ পালনরত অবস্থায় এখন পর্যন্ত ৩৬ জন বাংলাদেশি হাজির মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ এবং ৯ জন নারী। মৃত্যুর মধ্যে মক্কায় ২৩ জন, মদিনায় ১১ জন, জেদ্দায় ১ জন এবং আরাফাতে ১ জন মারা যান।
হজ চলাকালে সৌদি আরবে বাংলাদেশি হাজিদের চিকিৎসায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সৌদি সরকারি হাসপাতালগুলোতে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ২৭০ জন এবং এর মধ্যে ২৫ জন এখনও চিকিৎসাধীন।
এছাড়া, হাজিদের সুবিধার্থে আইটি সহায়তা ডেস্ক ২৩ হাজার ১৯৫ বার সেবা প্রদান করেছে এবং ৬০ হাজার ৬৫৮টি স্বয়ংক্রিয় প্রেসক্রিপশন ইস্যু করা হয়েছে।
ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, এ বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ হাজির জন্য কোটা নির্ধারিত ছিল। হজ ব্যবস্থাপনার জন্য ৭০টি হজ এজেন্সি অনুমোদন পেয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশের প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া ও চিকিৎসা সহায়তা কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, যাতে প্রত্যেক হাজি নিরাপদে ও সম্মানজনকভাবে দেশে ফিরতে পারেন।