Wednesday, August 6, 2025
Homeজাতীয়গুলশানে চাঁদাবাজির মামলায় রিয়াদের স্বীকারোক্তি, আদালতে জামিন অস্বীকৃতি

গুলশানে চাঁদাবাজির মামলায় রিয়াদের স্বীকারোক্তি, আদালতে জামিন অস্বীকৃতি

সাবেক ছাত্রনেতা রিয়াদ ১০ লাখ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন

ঢাকার গুলশানে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার হওয়া সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সাত দিনের রিমান্ড শেষে রোববার তিনি আদালতে স্বীকার করেন যে, তিনি চাঁদা আদায়ের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং নিজের কাজের জন্য অনুশোচনা প্রকাশ করেন।

রিয়াদ বলেন, “আমি গরিব মানুষের ছেলে। টাকার প্রলোভন সামলাতে পারিনি।”

গত ২৬ জুলাই গুলশানের সাবেক সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শাম্মি আখতারের বাসায় চাঁদা আদায়ের চেষ্টার সময় রিয়াদ গ্রেফতার হন। এর পরপরই তাঁকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

স্বীকারোক্তিতে রিয়াদ জানান, ১৭ জুলাই রাতে তিনি গুলশান জোনের ডিসির সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং জানান যে শাম্মি আখতার বাসায় আছেন। পুলিশ তখন গভীর রাতে অভিযানে অনীহা প্রকাশ করে এবং ভোরের পর ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেয়। পরদিন ভোরে রিয়াদ ও তার সঙ্গীরা পুলিশের সঙ্গে শাম্মির বাসায় যান কিন্তু তাঁকে পাননি।

রিয়াদ আরও বলেন, “জেন আলম আপু বাসা থেকে শাম্মির এয়ারপড নিয়ে নেন। পরে আমরা ফেরত দিতে গেলে শাম্মির স্বামী ভয় পেয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করলে ১০ লাখ টাকা দিয়ে দেন। আমরা টাকা ভাগাভাগি করি।” বাকি ৪০ লাখ টাকা সংগ্রহের জন্য ২৬ জুলাই বিকেলে আবার সেখানে গেলে পুলিশ হাতে-নাতে তাদের গ্রেফতার করে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, রিয়াদসহ তিনজনকে রোববার আদালতে হাজির করা হলে রিয়াদ স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেন। গুলশান থানার তদন্ত কর্মকর্তা মখলেছুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন এবং ঢাকা মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহ তা গ্রহণ করেন।

রিয়াদের সঙ্গে আরও তিন অভিযুক্ত ইব্রাহিম হোসেন, সাক্কাডাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাবকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এর আগে মামলার এক অপ্রাপ্তবয়স্ক আসামিকে গাজীপুর কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। অন্য অভিযুক্ত জেন আলম আপু বর্তমানে চার দিনের রিমান্ডে রয়েছেন।

RELATED NEWS

Latest News