তিউনিসিয়ার একটি বন্দরে রবিবার জড়ো হয়েছিলেন এক হাজারেরও বেশি মানুষ। তারা বার্সেলোনা থেকে আসা একটি সহায়তা জাহাজকে স্বাগত জানান, যেখানে ছিলেন পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থানবার্গসহ ফিলিস্তিনপন্থী বেশ কয়েকজন কর্মী। তাদের লক্ষ্য ইসরায়েলের গাজা অবরোধ ভাঙা।
গ্রেটা থানবার্গ বলেন, “আমরা সবাই জানি কেন এখানে এসেছি। এই সমুদ্রের ওপারে গণহত্যা চলছে, ইসরায়েলের দমনযন্ত্র ক্ষুধার মাধ্যমে গণমানুষকে হত্যা করছে।”
ইউরোপীয় সংসদ সদস্য রিমা হাসানও সিদি বু সাঈদ বন্দরে ভিড় জমানো মানুষের সঙ্গে যোগ দেন। তিনি বলেন, “ফিলিস্তিন ইস্যু আজ আর শুধু সরকারের হাতে নেই, এটি এখন বিশ্বজুড়ে সাধারণ মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে।”
হাসান যোগ করেন, “যখন রাষ্ট্রগুলো নীরব থেকে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াতে ব্যর্থ হচ্ছে, তখন মানুষের ভূমিকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।”
তবে তিনি স্পষ্ট করে জানাননি যে আগামী বুধবার গাজামুখী ফ্লোটিলা যাত্রা পুনরায় শুরু হলে তিনি এতে যোগ দেবেন কিনা।
আয়োজকদের তথ্য অনুযায়ী, বিভিন্ন দেশের ১৩০ জনেরও বেশি কর্মী তিউনিসিয়া থেকে এই অভিযানে যোগ দেওয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নিজেদের একটি স্বাধীন সংগঠন হিসেবে পরিচয় দেয়, যাদের কোনো সরকার বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা নেই। আয়োজকরা আরও জানান, প্রযুক্তিগত ও লজিস্টিক সমস্যার কারণে তিউনিসিয়া থেকে যাত্রা বিলম্বিত হয়েছে।