গত বছরের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের জন্য সনদ দিতে সরকারকে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নারী ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন মুরশিদ। শুক্রবার গাজীপুরের টঙ্গীতে শহীদ দুই তরুণীর বাড়িতে হঠাৎ সফরের সময় তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “অনেকেই বলছেন আমরা সময়মতো পৌঁছাচ্ছি না। কিন্তু আমরা চাই সবাইকে সহায়তা করতে, সবাইকে স্বীকৃতি দিতে। যদিও দেরি হচ্ছে, আমরা হাল ছাড়ছি না।”
তিনি আরও জানান, শহীদদের পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা পৌঁছানো এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। প্রশাসন গত বছর ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রক্রিয়া শুরু করলেও এখনও সব শহীদ পরিবারকে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি।
“আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। সে কারণে সব শহীদের নাম যাচাই ও সনদ প্রদান একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তারপরও সরকার সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছে,” বলেন শারমিন মুরশিদ।
শুক্রবার তিনি শহীদ মারওয়া ও নাফিসার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁদের হাতে সরকারি আর্থিক অনুদান তুলে দেন। এছাড়া, তিনি দুই শহীদের কবরে গিয়ে দোয়া করেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই-আগস্টে একটি গণআন্দোলনে বহু মানুষ অংশ নেয় এবং বেশ কয়েকজন প্রাণ হারান। সরকার এ আন্দোলনকে “অ্যান্টি-ফ্যাসিস্ট মুভমেন্ট” হিসেবে আখ্যায়িত করে শহীদদের স্মরণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
তবে এখনো পর্যন্ত সব শহীদ পরিবার সরকারের সহায়তা বা স্বীকৃতি পেয়েছে কিনা, সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি সমন্বিত তালিকা তৈরি ও দ্রুত সনদ বিতরণ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা না গেলে শহীদদের আত্মত্যাগের যথাযথ মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে না।
সরকারি সূত্রগুলো বলছে, আগামী মাসে একটি আপডেটেড তালিকা প্রকাশ এবং সনদ বিতরণে গতি আনার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এর জন্য সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনের সক্রিয় সহায়তা প্রয়োজন।
শারমিন মুরশিদ বলেন, “এই শহীদদের আত্মত্যাগ কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না। সরকার তাদের পরিবারকে সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে যেতে চায়।”