গোপালগঞ্জে বুধবার সংঘটিত সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। কমিটি পুরো ঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখবে কেন এই সহিংসতা ঘটেছে, কীভাবে প্রাণহানি হয়েছে এবং এর পেছনে কে বা কারা দায়ী বলে বিবেচিত হতে পারে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান মুখ্য উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল কিনা বা তথ্য সংগ্রহে ঘাটতি ছিল কিনা, তাও তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখবে।”
শফিকুল আলম জানান, উপদেষ্টা পরিষদ ‘অঙ্গ প্রতিস্থাপন অধ্যাদেশ ২০২৫’-এর খসড়াকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
তিনি বলেন, “এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে অঙ্গদাতা হওয়ার ক্ষেত্র বিস্তৃত হয়েছে, বিশেষ করে কিডনি প্রতিস্থাপন আরও সহজলভ্য হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই খসড়া তৈরি হয়েছে। এতে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির শরীর থেকে কিভাবে অঙ্গ নেওয়া যাবে এবং তা প্রতিস্থাপন করা যাবে—সে বিষয়েও স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।”
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২৫ জনকে আটক করেছে। ঘটনার সময় অন্তত ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ঘটনার তদন্ত এবং আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জের পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে থাকলেও প্রশাসন সতর্ক রয়েছে এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।