বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মানসুর সজীব ওয়াজেদ জয়ের করা সম্পত্তি কেনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, দুবাইয়ে মেয়ের নামে কেনা সম্পত্তির সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই।
মঙ্গলবার (১০ জুন) এক গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে গভর্নর বলেন, “এটি আমার মেয়ের সম্পত্তি, যা ২০২৩ সালে কেনা হয়েছে। তখন আমি গভর্নর ছিলাম না। মেয়ে বিবাহিত এবং স্বামী ও সন্তানদের নিয়ে দুবাইয়ে থাকেন। প্রায় ৪০ বছর বয়সে তিনি নিজেই বাড়ি কেনার সক্ষমতা রাখেন। এই সম্পত্তির সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।”
সম্পত্তি কেনার এই বিতর্কের সূচনা হয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের সোমবার (৯ জুন) একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে। সেখানে তিনি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেনের একটি পোস্ট শেয়ার করেন।
ওই পোস্টে দাবি করা হয়, “জুলাই ষড়যন্ত্র বিপ্লবের পর হঠাৎ গভর্নর হওয়া” আহসান এইচ মানসুর ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর তাঁর ‘আদরের মেয়ে’র জন্য ৪৫ কোটি টাকার ফ্ল্যাট কিনেছেন। পোস্টে আরও বলা হয়, দুবাইতে ১ কোটি ৩৫ লাখ দিরহামের এই সম্পত্তি মেহরিন সারা মানসুরের নামে পাওয়া গেছে এবং এর মাধ্যমে অর্থপাচার হয়েছে বলে ইঙ্গিত করা হয়, যদিও কোন প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, “হ্যাঁ, সম্পত্তির কাগজপত্রে আমি মেহরিন সারা মানসুরের পিতা হিসেবে তালিকাভুক্ত আছি। তবে এটি কোনোভাবে মালিকানা বা সম্পৃক্ততার প্রমাণ নয়। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক যে সজীব ওয়াজেদ জয় এ ধরনের বিষয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন।”
এই ঘটনার পর দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।