সরকার জুট বৈচিত্র্য উন্নয়ন কেন্দ্র (JDPC)-এর মাধ্যমে ১০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করছে, যা দিয়ে এক হাজারের বেশি উদ্যোক্তা জুটভিত্তিক পণ্য, বিশেষ করে জুট ব্যাগের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে যুক্ত হবেন। এমনটাই জানিয়েছেন শেখ বশির উদ্দিন, যিনি পণ্যপত্র, বস্ত্র ও বাণিজ্য এবং নাগরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা।
ঢাকায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলস (BUTEX)-এর অডিটোরিয়ামে আয়োজিত “The Role of Jute in Sustainable Development – Hafizuddin Ahmed & Fatema Ahmed Trust Lecture 2025” শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “আমরা জুটকে বাজারে আবার জনপ্রিয় করার জন্য একটি সাংস্কৃতিক পরিবর্তনের চেষ্টা করছি। জুটের ব্যবহার, কার্যকারিতা এবং আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণ বাড়াতে গবেষণা প্রয়োজন। জুটের জন্য বৈশ্বিকভাবে বড় বাজার রয়েছে, বিশেষ করে মোড়ক ও প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রে।”
তিনি শিক্ষার্থীদের “ভবিষ্যৎ ক্যাপ্টেন” হিসেবে অভিহিত করে জুট পণ্যে নতুনত্ব আনার, উৎপাদন খরচ কমানোর এবং প্লাস্টিকের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
উল্লেখযোগ্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর রশিদা আখতার খানম, বাংলাদেশ জুট গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নরগিস আখতার, IEB উপ-সভাপতি খান মঞ্জুর মোর্শেদ, এবং ITET কনভেনার আহসানুল করিম কায়সার, সঙ্গে ফ্যাকাল্টি সদস্য ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
সেমিনারটি সভাপতিত্ব করেন BUTEX উপাচার্য প্রফেসর মোঃ জুলহাস উদ্দিন, যিনি প্রধান অতিথিকে ক্রেস্ট অফ অনার উপহার দেন। বক্তৃতায় প্রফেসর হোসনে আরা বেগম জুট চাষ এবং রফতানিকে টেকসই ও পরিবেশবান্ধব অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন এবং আসন্ন বাণিজ্য মেলায় একমাত্র জুট ব্যাগ ব্যবহারের আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন আরও বলেন, “সাংস্কৃতিক পরিবর্তন জোর করে আনা যায় না। জুটকে আবার সফল করতে সমন্বিত নীতি, পদক্ষেপ এবং উদ্যোগের প্রয়োজন।”