গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত সমাবেশে সংঘর্ষের ঘটনায় পাঁচজন নিহত হওয়ার প্রেক্ষিতে ৫৪০০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে চারটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার রাতে সদর থানার চার উপ-পরিদর্শক (এসআই) পৃথকভাবে মামলাগুলো করেন। এসব মামলা দণ্ডবিধির ১৪৭, ১৪৮, ১৪৯, ১৮৬, ১৫৩, ৩০৭, ৩০২ ও ৩৪ ধারায় দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন।
এর আগে, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে সদর, কাশিয়ানি ও কোটালীপাড়া থানায় আরও চারটি মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে অভিযুক্তের সংখ্যা ছিল তিন হাজারের বেশি।
পুলিশ জানায়, সহিংস ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার আসামিদের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও রয়েছেন বলে জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
উল্লেখ্য, ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে এনসিপি’র ঘোষিত সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের কর্মী এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চারজন নিহত হন এবং বহু মানুষ আহত হন।
পরে আহতদের মধ্যে একজন ১৮ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে জেলা প্রশাসন ১৬ জুলাই ১৪৪ ধারা জারি করে এবং পর্যায়ক্রমে কারফিউ আরোপ করে, যা পরে কয়েক দফায় বাড়ানো হয়।
ঘটনার তদন্ত চলছে এবং পুলিশ জানিয়েছে, সহিংসতায় যারা জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জন্য কাজ অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সহিংসতা বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সতর্ক এবং নিরপেক্ষভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে হবে বলে মত দেন তারা।