ভারতের আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজের ব্ল্যাক বক্স থেকে সফলভাবে ৪৯ ঘণ্টার ফ্লাইট ডেটা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ডেটা উদ্ধার সম্ভব হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা একটি ‘গোল্ডেন চ্যাসিস’ ও উপযুক্ত ডাউনলোড কেবলের মাধ্যমে।
গত ১২ জুনের এই দুর্ঘটনায় ২৬০ জন যাত্রীর মৃত্যু ঘটে। দুর্ঘটনার পর ২৪ জুন ব্ল্যাক বক্স দুটি উদ্ধার করে দিল্লিতে নিয়ে আসে এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB)।
গোল্ডেন চ্যাসিস হচ্ছে এক ধরনের একই মডেলের রেকর্ডার ইউনিট, যা মূল রেকর্ডারটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ডেটা পুনরুদ্ধারে ব্যবহৃত হয়। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (NTSB) প্রয়োজনীয় ডাউনলোড কেবলসহ গোল্ডেন চ্যাসিস সরবরাহ করেছে।
AAIB জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় সামনের দিকের ব্ল্যাক বক্সের ক্র্যাশ প্রটেকশন মডিউল (CPM) অক্ষত ছিল। সেটিকে গোল্ডেন চ্যাসিসে মাউন্ট করে ডেটা ডাউনলোড করা হয়। এতে ছয়টি ফ্লাইটসহ মোট ৪৯ ঘণ্টার ফ্লাইট ডেটা পাওয়া যায়, যার মধ্যে দুর্ঘটনার ফ্লাইটটিও রয়েছে।
সাউন্ড রেকর্ডিং অংশে দুই ঘণ্টার অডিও পাওয়া গেছে, যেখানে দুর্ঘটনার সময়কার তথ্য রয়েছে। প্রাথমিকভাবে অডিও ও ফ্লাইট ডেটা বিশ্লেষণও সম্পন্ন হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
তবে পিছনের দিকের ব্ল্যাক বক্সটি প্রচণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তা থেকে ডেটা উদ্ধার সম্ভব হয়নি। মেমোরি কার্ড খোলার পর দেখা যায়, ভেতরের ক্ষতি ব্যাপক।
এই তদন্তের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তদন্তকারী ইনচার্জ সঞ্জয় কুমার সিং। প্রধান তদন্তকারী হিসেবে রয়েছেন জসবীর সিং লারহগা। দলে আরও রয়েছেন ভিপিন ভেনু ভারাকোথ, বীররাঘবন কে এবং বৈষ্ণব বিজয়কুমার।
প্রযুক্তিগত এবং চিকিৎসাবিষয়ক দিকগুলো নিশ্চিত করতে তদন্তে যুক্ত করা হয়েছে অভিজ্ঞ পাইলট, প্রকৌশলী, অ্যাভিয়েশন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, মনোবিজ্ঞানী ও ফ্লাইট রেকর্ডার বিশেষজ্ঞদের। তদন্ত এখনো চলমান রয়েছে।