মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে ১৭ থেকে ২৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত নারী কাবাডি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে জার্মানির নারী কাবাডি দল। গ্রুপ পর্বের সব ম্যাচে হারের মুখ দেখলেও দলটির খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা ইতিবাচক মনোভাব ধরে রেখেছেন। তারা মনে করেন, এই বিশ্বকাপ তাদের জন্য বড় শেখার সুযোগ।
সূচি পরিবর্তনের কারণে জার্মানি দল সম্পূর্ণ স্কোয়াড নিয়ে আসতে পারেনি। ১৪ জনের বদলে মাত্র ৯ জন খেলোয়াড় ঢাকায় এসেছে। শেষ মুহূর্তে কয়েকজন খেলোয়াড় সরে দাঁড়ানোয় তারা পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েও মাঠে নামতে পারেনি।
স্টুটগার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী এমা অ্যাটলে ম্যাচশেষে বলেন, দলটি প্রতিযোগিতামূলক কাবাডিতে একেবারেই নতুন। এখনো তারা খেলাটির নিয়মসহ মৌলিক বিষয়গুলো শিখছেন। তিনি জানান, যেহেতু এটি তাদের প্রথম বিশ্বকাপ, তাই জয় নয়, অভিজ্ঞতা অর্জন ও খেলাটি উপভোগ করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।
এমা বলেন, এটি আমাদের প্রথম বিশ্বকাপ এবং প্রথম প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্ট। এখনো এক বছর হয়নি আমরা কাবাডি শেখা শুরু করেছি। এখান থেকে অনেক কিছু শিখছি, এমনকি খেলার নিয়মও। আমরা এখানে কাবাডি উপভোগ করতে এসেছি।
জার্মানির নারী কাবাডি দলটি গড়ে ওঠে মাত্র এক বছর আগে। দেশটিতে এখনো কাবাডি পুরোপুরি পেশাদার পর্যায়ে পৌঁছায়নি। বর্তমানে ৩০ থেকে ৪০ জন নারী খেলোয়াড় সপ্তাহান্তে স্টুটগার্ট ও নুরেমবার্গে অনুশীলন করেন। এমা আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে জার্মানির বিভিন্ন শহরে কাবাডি জনপ্রিয় হবে এবং একসময় তারা নিজেদের দেশে প্রো কাবাডি আয়োজন করতে পারবেন।
এমা বলেন, আমরা নতুন শুরু করেছি। এখন ৩০ ৪০ জন খেলোয়াড় আছে। খেলাটি দুই শহরে জনপ্রিয়। ভবিষ্যতে পুরো জার্মানিতে কাবাডি ছড়িয়ে পড়বে। একদিন আমাদের মেয়েরা দেশে প্রো কাবাডি খেলবে। আমরা সবাই পেশাদার হবো।
যদিও মাঠের ফল ভালো আসেনি, জার্মান দলের সদস্যরা বাংলাদেশে পাওয়া আন্তরিকতা ও স্বাগতকে অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন। তারা আশা করছেন, এই সফর জার্মানিতে কাবাডির বিকাশে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।
