জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ ঘোষণা দিয়েছেন, গাজায় মানবিক সহায়তা পাঠাতে জর্ডানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে তার দেশ। সোমবার বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বোরিস পিস্টোরিয়াস এই উদ্যোগে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠভাবে সমন্বয় করবেন। তারাও গাজায় খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহে প্রস্তুত।”
চ্যান্সেলর মার্জ আরও বলেন, “আমরা জানি, এটি গাজার মানুষের জন্য খুব ছোট পরিসরের সহায়তা হবে। তবুও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান।”
তিনি জানান, মঙ্গলবার জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ দ্বিতীয় বার্লিন সফর করবেন এবং এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।
গাজায় চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মানবিক সংকট নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, অঞ্চলটিতে ‘ব্যাপক দুর্ভিক্ষ’ ছড়িয়ে পড়ছে।
গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল গাজার কিছু এলাকায় প্রতিদিন ‘কৌশলগত বিরতি’ দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এরপর সোমবার নিরাপদ রুট ব্যবহার করে কিছু খাদ্যবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করে। তবে ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, এই সহায়তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
চ্যান্সেলর মার্জ বলেন, “ইসরায়েলকে এখনই গাজার ভয়াবহ মানবিক পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধানে উদ্যোগ নিতে হবে।”
তিনি আরও জানান, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াডেপফুল বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রাচ্যে সফর করবেন। সফরের উদ্দেশ্য হলো ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনা এগিয়ে নেওয়া।
এদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কার্যালয় জানায়, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে স্কটল্যান্ডে সাক্ষাতে মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র জানান, স্টারমার চলতি সপ্তাহেই মন্ত্রিসভার বৈঠকে চলমান সংকট নিয়ে আলোচনা করবেন এবং যুক্তরাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট করবেন।
গাজায় যুদ্ধ শুরুর ২১ মাস পরেও সহিংসতা বন্ধ হয়নি। মানবিক সহায়তা ও অস্ত্রবিরতির আহ্বান জোরালো হলেও পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হয়নি।