জার্মানি গাজার পুনর্গঠনের জন্য মিসরের সঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা করছে। জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্জ শুক্রবার এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, সম্মেলনের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত জলের সরবরাহ, শক্তি এবং চিকিৎসাসেবার মতো জরুরি প্রয়োজন মেটানো।
জার্মান উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানান, বার্লিন দ্রুত গাজার জন্য ৮৫০টি অস্থায়ী আবাসন ইউনিট সরবরাহ করতে সক্ষম। এর মধ্যে ৫০টি রামাল্লাহে অবস্থান করছে এবং দ্রুত গাজায় পৌঁছে দেওয়া যাবে যাতে মানুষ জরুরি আশ্রয় পায়। তিনি আরও জানান, গাজার ৯০ থেকে ৯২ শতাংশ ভবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
একই দিনে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর অফিস জানায়, সরকার হামাসের সঙ্গে বন্দী মুক্তির একটি চুক্তির কাঠামো অনুমোদন করেছে। মের্জ বলেন, চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং বন্দীদের, যার মধ্যে জার্মান নাগরিকও রয়েছেন, অবশেষে তাদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।
আরো পড়ুন: ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি জাতিসংঘে গাজার শান্তি পরিকল্পনার পক্ষে
তিনি আরও বলেন, “মানবিক সাহায্য দ্রুত গাজার জনগণের কাছে পৌঁছানো উচিত।” এছাড়া মের্জ জানান, জার্মানি অতিরিক্ত ২৯ মিলিয়ন ইউরো (৩৩.৬ মিলিয়ন ডলার) মানবিক সাহায্য সরবরাহ করবে এবং মুক্ত হওয়া বন্দীদের চিকিৎসা ও মানসিক সহায়তাতেও সহায়তা করবে।
নেতানিয়াহু জানান, গাজায় এখনও ৪৮ জন বন্দী রয়েছে। এদের মধ্যে ২০ জন বেঁচে আছে এবং ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে একজন ২০১৪ সালে নিহত ইসরায়েলি সেনা, যার অবশিষ্টাংশ হামাস ধরে রেখেছে। এছাড়া বেঁচে থাকা চারজন জার্মান নাগরিক।
