বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত অ্যাকিম ট্রস্টার বুধবার বিদায় সাক্ষাতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। রাজধানীর স্টেট গেস্ট হাউস যমুনায় এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
চার বছর মেয়াদ শেষে বিদায় নেওয়ার প্রাক্কালে রাষ্ট্রদূতকে শুভেচ্ছা জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি জার্মানির সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘস্থায়ী ও দৃঢ় সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে ট্রস্টারের অবদানকে কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “উন্নয়নের পথে জার্মানি সবসময়ই আমাদের নির্ভরযোগ্য অংশীদার ছিল।”
রাষ্ট্রদূত ট্রস্টার তার বাংলাদেশে অবস্থানকালীন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, “আমার কূটনৈতিক জীবনে অনেক স্মরণীয় দায়িত্ব পালনের সুযোগ হয়েছে, তবে বাংলাদেশ সবদিক থেকেই আলাদা। এখানকার মানুষের আতিথেয়তা আমাকে মুগ্ধ করেছে। কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা নিয়ে আমি বিদায় নিচ্ছি।”
তিনি বলেন, “ইনভেস্টমেন্ট সামিট ছিল ইতিবাচক একটি উদ্যোগ। আমি বাংলাদেশ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়ার সফলতা কামনা করি। পাশাপাশি আশা করি, দেশটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাবে।”
প্রধান উপদেষ্টা জার্মানির গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং উন্নয়ন সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। বিশেষ করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য জার্মানির মানবিক সহায়তা তুলে ধরেন তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় জার্মানির অটল সমর্থনের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
সাক্ষাৎ শেষে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “আপনি চলে গেলেও আমরা চাই আপনার মূল্যবান মতামত শুনতে, হোক তা ইতিবাচক কিংবা সমালোচনামূলক। কারণ, আপনি আমাদের কাছে বাংলাদেশের একজন প্রকৃত বন্ধু।”