Saturday, June 21, 2025
Homeআন্তর্জাতিকগাজায় ত্রাণকেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬০ জন

গাজায় ত্রাণকেন্দ্রের কাছে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬০ জন

নেটজারিম করিডর ও দেইর আল-বালাহ এলাকায় হামলায় প্রাণ হারালেন বহু ত্রাণ প্রত্যাশী

গাজার ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের আশপাশে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৬০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার সিভিল ডিফেন্স সংস্থা। নিহতদের মধ্যে ৩১ জন সরাসরি ত্রাণ নেওয়ার জন্য লাইনে অপেক্ষমাণ ছিলেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, দক্ষিণ গাজায় পাঁচজন এবং মধ্য গাজার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত নেটজারিম করিডর এলাকায় আরও ২৬ জন নিহত হয়েছেন। এ করিডরটি গাজার ভেতর দিয়ে বিস্তৃত একটি অঞ্চল যা বর্তমানে ইসরায়েলি বাহিনী দখলে রেখেছে।

ত্রাণ পাওয়ার আশায় হাজারো মানুষ প্রতিদিন এ এলাকায় জড়ো হন। ২০ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতে গাজায় দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা বাড়ছে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এএফপিকে জানায়, নেটজারিম এলাকায় তাদের বাহিনী প্রথমে আগতদের উদ্দেশে সতর্কতামূলক গুলি চালায়। এরপরও আগ্রসর হওয়ায় তারা বিমান হামলার মাধ্যমে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে।

গত মে মাসের শেষ দিক থেকে এই এলাকায় একই ধরনের হামলার ঘটনা নিয়মিত ঘটছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সহায়তায় গঠিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন এ সময় থেকে ত্রাণ বিতরণ শুরু করে। তবে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা এই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, কারণ তারা মনে করে এটি ইসরায়েলি কৌশলগত উদ্দেশ্য পূরণে ব্যবহৃত হচ্ছে।

এদিকে, শুক্রবার দেইর আল-বালাহ শহরের আশপাশে দুটি হামলায় আরও ১৪ জন নিহত হন বলে জানিয়েছেন বাসাল। এছাড়া গাজা শহরে তিনটি আলাদা হামলায় আরও ১৩ জনের প্রাণহানি হয়।

তাঁর ভাষ্যমতে, গাজার একটি ফোন চার্জিং স্টেশনেও বিমান হামলায় তিনজন নিহত হন। দক্ষিণ গাজায় দুটি পৃথক ঘটনায় ইসরায়েলি গুলিতে আরও দুজন মারা যান।

গাজা অঞ্চলজুড়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কড়া নিয়ন্ত্রণ ও সংবাদমাধ্যমের চলাচলে বাধা থাকায় নিহতের সংখ্যা বা বিস্তারিত তথ্য স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন আল-কুদস ব্রিগেড দাবি করেছে, তারা দক্ষিণ শহর খান ইউনিসে একটি ইসরায়েলি সামরিক পোস্টে হামলা চালিয়েছে। এতে বেশ কিছু সেনা হতাহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়। তবে ইসরায়েলি বাহিনী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

ইসরায়েলি বাহিনীর সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশে গাজার বিস্তীর্ণ অঞ্চল, বিশেষ করে খান ইউনিস, অনেক আগেই পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত সাধারণ মানুষই যেন হয়ে উঠেছেন যুদ্ধের প্রধান শিকার।

RELATED NEWS

Latest News