গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১২ জন ছিলেন সহায়তা প্রত্যাশী। শুক্রবারের এই হামলায় ৮০ জনের বেশি আহত হন। আল জাজিরা গাজার চিকিৎসা সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি শুক্রবার গাজা সফর শুরু করেন। তাঁদের সফরের দিনেই এই হামলা হয়। সফরকালে তারা গাজায় মানবিক পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেন এবং বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেন।
হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা আব্দেল হাকিম হেনিনি পশ্চিম তীরের মাসাফের ইয়াত্তায় বিদেশি সংহতি কর্মীদের গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই ধরনের হামলা কেবল ফিলিস্তিনিদের নয়, বিশ্বব্যাপী স্বাধীন মানুষদের ভয় দেখানোর চেষ্টা।
হামাসের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষের সম্পত্তিতে হামলা ও ভাঙচুর একটি পরিকল্পিত প্রচারণার অংশ, যার মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করে বসতি স্থাপন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইসরায়েলি সেনারা এসব হামলাকারীকে রক্ষা করছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার রাতে গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ইসরায়েলিরা মলোটভ ককটেল ও পাথর ছুড়ে একটি আবাসিক ভবনেও হামলা চালায়।
মার্কিন বিশেষ দূত উইটকফ বলেন, তিনি ও মাইক হাকাবি মিলে গাজায় সরেজমিন পরিস্থিতি দেখেছেন এবং মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে চেষ্টা করেছেন। তিনি জানান, এ তথ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পৌঁছে দিয়ে গাজায় খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তার পরিকল্পনা তৈরি করা হবে।
জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় সংস্থা (ওসিএইচএ) গাজার কর্মী ওলগা চেরেভকো বলেন, ইসরায়েল এখন কিছুটা বেশি সহায়তা ঢুকতে দিচ্ছে, তবে জটিল প্রশাসনিক সীমাবদ্ধতা থাকার কারণে তা মানুষের প্রয়োজন মেটাতে যথেষ্ট নয়।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিক বারাক ডেভিডকে বলেছেন, “আমরা চাই মানুষ বাঁচুক। আমরা চাই তাদের খাদ্য সহায়তা পৌঁছাক। এটি অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল।”