গাজায় ইসরায়েলি হামলার মধ্যে enclave-টির স্বাস্থ্যব্যবস্থা এখন “চরম ভঙ্গুর” অবস্থায় রয়েছে বলে সতর্ক করেছে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রস (ICRC)। সংস্থাটি জানায়, ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাগুলিতে সহায়তা বিতরণকেন্দ্রের আশেপাশে নিহত এবং আহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসাসেবা মারাত্মক চাপে পড়েছে।
রবিবার আল-জাজিরার কাছে পাওয়া এক বিবৃতিতে রেড ক্রস জানায়, রাফাহতে রেড ক্রস ফিল্ড হাসপাতালকে গত দুই সপ্তাহে ১২ বার “মাস ক্যাজুয়ালটি ইনসিডেন্ট” প্রোটোকল সক্রিয় করতে হয়েছে। গুলির ও শার্পনেলের আঘাতে আহত বিপুল সংখ্যক রোগী সেখানে ভর্তি হয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অধিকাংশ আহত ব্যক্তি সহায়তা বিতরণকেন্দ্রে যাচ্ছিলেন বলেই তারা জানান।
গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (GHF), যেটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সহায়তায় পরিচালিত, মে মাসের ২৭ তারিখ থেকে চালু হওয়ার পর থেকে এসব বিতরণকেন্দ্র ঘিরে ইসরায়েলি গুলিতে শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানায়, এ পর্যন্ত এইসব সহিংসতায় মৃত্যু হয়েছে ১২৫ জনের এবং আহত হয়েছেন ৭৩৬ জন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ৯ জন।
সর্বশেষ হামলায় রাফাহ ও ওয়াদি গাজা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় অন্তত ১৩ জন নিহত ও ১৫৩ জন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালেই আল-আলম এলাকায় লোকজন জড়ো হতে শুরু করেন। ঘণ্টাখানেক পর যখন লোকজন এগিয়ে যায়, তখন ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালায়।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে যেসব লোকজন এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তাদের লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয়। অন্যদিকে GHF দাবি করেছে, তাদের কোনো কেন্দ্রে রবিবার কোনো ঘটনার খবর নেই।
রেড ক্রস জানিয়েছে, ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষের কারণে গাজার অবশিষ্ট কিছু চিকিৎসাকেন্দ্রও হুমকির মুখে রয়েছে। এতে রোগী স্থানান্তরও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে, ফলে অনেকেই প্রয়োজনীয় বিশেষায়িত চিকিৎসা পাচ্ছেন না।
ICRC সতর্ক করে বলেছে, যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়বে। চিকিৎসা অবকাঠামো ও চিকিৎসাকর্মীদের সুরক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
তারা জানায়, “চিকিৎসা কার্যক্রম সচল রাখতে সকল সম্ভব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। চিকিৎসা কর্মীদের নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনীয় সম্পদ সরবরাহ নিশ্চিত করা অপরিহার্য।”