ডেইলি প্রতিদিনের বাণী রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১৫ মে ২০২৫, ১৯:৪০
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দুই মাস ধরে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। খাদ্য, ওষুধ ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের এক বিন্দু সুযোগও দেয়নি দখলদার ইসরায়েল। ফলে শুরু হয়েছে দুর্ভিক্ষ, ভেঙে পড়েছে হাসপাতাল ও চিকিৎসা ব্যবস্থা।
বুধবার (১৩ মে) ভোর থেকে ইসরায়েলের টানা বোমা হামলায় শুধু আজই ৮০ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫৯ জনই গাজার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
ফিলিস্তিনি এনজিও নেটওয়ার্কের প্রধান আমজাদ শায়া বলেন, “এটা কেবল যুদ্ধ নয়—এটা একটি গণঅবরোধ। সীমান্ত বন্ধের দশম সপ্তাহ চলছে। কোনো খাদ্য, ওষুধ, বা ত্রাণ প্রবেশ করছে না। জাতিসংঘ, এনজিও ও বেসরকারি খাত—সবার মজুত ফুরিয়ে গেছে।”
তিনি বলেন, “গাজায় আজ এমন এক অবস্থা—সব মানুষ না খেয়ে আছেন। হাসপাতালগুলোতে আহতদের জায়গা নেই, ওষুধ নেই।”
এদিকে কাতারের রাজধানী দোহা থেকে আলজাজিরার সাংবাদিক জেমস বেইস জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি চুক্তির জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকোফ কাতারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে চুক্তির বিষয়ে স্পষ্ট অগ্রগতি এখনো জানা যায়নি।
যুদ্ধবিরতির চেষ্টার মধ্যেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুমকি দিয়েছেন, তিনি হামলা থামাবেন না। এই বক্তব্যের কারণে যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়া জটিল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্লেষকরা।
গাজায় দুর্ভিক্ষ ও মানবিক বিপর্যয়ের জন্য ইসরায়েলের এই অবরোধকেই মূল দায় হিসেবে চিহ্নিত করেছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে ফিলিস্তিনি প্রশাসন।
সূত্র: আলজাজিরা, এএফপি
