বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গাইশ্বর চন্দ্র রায় অভিযোগ করেছেন, প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) পদ্ধতির দাবিকে কেন্দ্র করে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বিলম্বের ষড়যন্ত্র চলছে।
শুক্রবার রাজধানীর লালবাগে দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু সংখ্যালঘুদের এক সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
গাইশ্বর রায় বলেন, “যারা ফ্যাসিস্টদের সঙ্গে আঁতাত করছে, তারাই নির্বাচনে বিলম্বের চেষ্টা করছে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে দেশে আবার ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হবে। সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠলে দেশ বিপদের মুখে পড়বে।”
সভায় বিভিন্ন সনাতন ধর্মীয় পূজা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপহার বিতরণ কর্মসূচিও অনুষ্ঠিত হয়।
নিউইয়র্কে সাম্প্রতিক ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে গাইশ্বর বলেন, “মির্জা ফখরুলকে রেখে আসা হলো, অথচ প্রধান উপদেষ্টা ও আরও কয়েকজন নির্বিঘ্নে পার হয়ে গেলেন। বাকিদের হয়রানি করা হলো। এটি কি অবহেলা, নাকি ষড়যন্ত্র?”
তিনি দাবি করেন, সরকার অন্তর্বর্তীকালীন হলেও কয়েকটি মন্ত্রণালয় এর নিয়ন্ত্রণে নেই এবং কিছু দল এর সুযোগ নিচ্ছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের নীরবতাকে দুর্বলতা ভেবে ভুল করার সুযোগ নেই বলেও হুঁশিয়ার করেন তিনি।
গাইশ্বর আশঙ্কা প্রকাশ করেন, দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠী সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে। তিনি বলেন, “প্রতিটি বিএনপি নেতা-কর্মীকে পূজামণ্ডপ পাহারা দিতে হবে।”
আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে ভোট পড়বে বলেই অনেকেই অস্বস্তিতে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন গাইশ্বর। তবে তিনি স্বীকার করেন, দলের ভেতরেও কিছু অভ্যন্তরীণ সমস্যা রয়েছে।
তিনি বলেন, “এক এলাকায় এক প্রার্থী থাকাই স্বাভাবিক, কিন্তু এখন বহু প্রার্থী দেখা যাচ্ছে। প্রতিযোগিতার মানসিকতা বাদ দিয়ে সবাইকে ধানের শীষের পক্ষে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বিভক্ত থাকলে ভোটাররা বিভ্রান্ত হবে।”
সভার সভাপতিত্ব করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খোকন। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজি মোনির হোসেন, আনোয়ার পারভেজ বাদল, রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মনি, রবিন হোসেনসহ সনাতন সম্প্রদায়ের নেতারা।