দেশে দায়হীন বা ভবিষ্যতে বিদেশে পালাতে পারে এমন প্রার্থীদেরকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফউজুল কবীর খান। তার মতে, জনগণ যেন এমন কাউকে নির্বাচন করে যারা দেশেই থাকবেন এবং জনগণের পাশে থেকে দায়িত্ব পালন করবেন।
শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে জামালপুরের মাদারগঞ্জে জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ পরিদর্শনে গিয়ে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “ভাল নির্বাচন মানে হচ্ছে—ভোটাররা যেন ভোট দিতে পারেন, সব প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট যেন কেন্দ্রে থাকতে পারেন, এবং ফলাফল গণনা যেন সবার সামনেই হয়।”
তিনি আরও জানান, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনে সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
“আমরা কোনো দলের পক্ষে নই। যে জিতবে তাকে আমরা স্বাগত জানাব। কিন্তু যদি সঠিকভাবে নির্বাচন না হয়, তবে ভবিষ্যতের জন্য মারাত্মক পরিণতি অপেক্ষা করছে,” বলেন উপদেষ্টা।
জামালপুর-১ কূপ প্রসঙ্গে তিনি জানান, “এখানে আগে কেউ জানতো না যে গ্যাস আছে। এখন আমরা ৫ এমএমসিএফ গ্যাস পেয়েছি। এখান থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে আরেকটি কূপ খনন করা হবে। তারপর আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।”
তিনি জানান, কাঁচা গ্যাস সরাসরি ব্যবহারযোগ্য নয়, তাই একটি মোবাইল প্রসেসিং প্ল্যান্ট আনা হবে।
“এই কূপে এখনই বড় বিনিয়োগের প্রয়োজন নেই। তবে বড় গ্যাস মজুদ নিশ্চিত হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শোধন করা গ্যাস স্থানীয় শিল্পে ব্যবহৃত হবে,” বলেন উপদেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফজলুল হক, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান রেজানুর রহমান, জামালপুরের জেলা প্রশাসক হাসিনা বেগম এবং প্রকল্প পরিচালক মো. মজাম্মেল হকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি সভাও করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৮০ সালে মাদারগঞ্জের তারটাপাড়া এলাকায় প্রথম গ্যাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ২ডি এবং ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ক্লোজ-গ্রিড সার্ভে শেষে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপের খনন কাজ। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৬৮ কোটি টাকা।