মঙ্গলবার ঢাকার দুটি আদালত সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন আবেদন নাকচ করেছে।
ঢাকা অ্যাডিশনাল মেট্রোপলিটন সেশনস জজ-১৮ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা আবদুল কায়েম আহাদ হত্যার মামলায় তার জামিন আবেদন খারিজ করেছেন।
সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতির শাহবাগ থানায় আদালত রায়ে হস্তক্ষেপের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জামিন আবেদনও নাকচ করেছেন ঢাকা অ্যাডিশনাল মেট্রোপলিটন সেশনস জজ-২ নরগিস ইসলাম।
খায়রুল হকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনায়েম নাবি শাহিহ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মুজাহিদুল ইসলাম অভিযোগ করেছেন, খায়রুল হক ১৩তম সংশোধনী বাতিল করার সুপ্রিম কোর্টের সংক্ষিপ্ত রায়ের পূর্ণ রায় অনধিকারভাবে প্রকাশ করেছেন। অভিযোগ, ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি ১৬ মাস পর অবসরপ্রাপ্ত হওয়ার পর এই রায় প্রকাশ করেন, যা ২০১১ সালের ১০ মে দেওয়া মূল সংক্ষিপ্ত রায়ের পরিবর্তন ছিল। অভিযোগ, এ সময় তিনি প্রভাবশালী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রভাব এবং পোস্ট-অবসর সুবিধা আশা করে রায় পরিবর্তন করেছিলেন।
খায়রুল হক ২৪ জুলাই তার ধানমণ্ডি বাসা থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চের টিম দ্বারা গ্রেফতার হন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে, যেগুলোতে বিচারিক হস্তক্ষেপ, রাষ্ট্রবিরোধিতা, দুর্নীতি এবং ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনের সময় কিশোর আবদুল কায়েম আহাদ হত্যার অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত। একই দিনে তাকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় জেল হেফাজতে পাঠানো হয়।