জুলাই মাসের গণআন্দোলনকে কেন্দ্র করে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বহিষ্কৃত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আরও দুইজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. গোলাম মোর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই আদেশ দেন।
মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। এর মধ্যে একমাত্র গ্রেপ্তার হয়েছেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। শেখ হাসিনা ও কামালকে মামলায় পলাতক দেখানো হয়েছে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি মো. তাজুল ইসলাম জানান, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন স্বেচ্ছায় নিজের অপরাধ স্বীকার করে রাষ্ট্রের সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
শেখ হাসিনার পক্ষে আদালতে দায়িত্ব পালন করছেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
গত ১ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেয়। মামলায় শেখ হাসিনা ছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাবেক আইজিপির বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়।
এরপর ১৬ জুন ট্রাইব্যুনাল একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেয়, যেখানে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালকে সাত দিনের মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও তারা হাজির না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল ১ জুলাই অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করে।
বিচারিক কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করে বাংলাদেশ টেলিভিশন।
আদালতের নির্দেশনার মাধ্যমে এই প্রথমবারের মতো শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন সংক্রান্ত কোনো মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।