ফেনী জেলার ফুলগাজী ও পরশুরামের পর এবার চাগলনাইয়া ও সদর উপজেলায় নতুন করে বন্যা দেখা দিয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ। ভারতীয় পাহাড়ি এলাকা থেকে নেমে আসা পানি এসব নতুন এলাকায় প্লাবন সৃষ্টি করেছে।
নতুন করে প্লাবিত হয়েছে কাজিরবাগ, মতবী ও ফাজিলপুর এলাকাসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।
ফেনী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫০ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাত কমলেও উজান থেকে নেমে আসা পানির প্রবাহ এখনো জোরালো থাকায় পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হয়নি।
পরশুরাম উপজেলার ধনিকুন্ডা এলাকায় জমে থাকা বালু নতুন করে ভোগান্তি সৃষ্টি করছে। একইভাবে দাগনভূঁইয়া ও সোনাগাজীর নিচু এলাকাগুলোতে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, ফুলগাজী, পরশুরাম, চাগলনাইয়া ও সদর উপজেলার ১০০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহরিয়া ইসলাম বলেন, “আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা লোকদের রান্না করা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। দূরবর্তী এলাকায় আটকে পড়া মানুষদের খাবার পৌঁছে দিতে স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে।”
আর্মি, বিজিবি, পুলিশ এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একযোগে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দুর্গতদের মধ্যে শুকনো খাবার, ওষুধ ও জরুরি সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
তবে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষজন খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসাসেবার সংকটে রয়েছেন। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন।
পানি কিছুটা নামতে শুরু করলেও ক্ষয়ক্ষতির চিত্র ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেক বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট ধসে পড়েছে বলে জানা গেছে।