একসময় কমিক-কনের হল এইচ-এর প্যানেলে অভিনেতারা বলতেন, “শৈশবে আমি এই কমিক পড়তাম।” সময় বদলেছে। এবার সেই স্থান নিয়েছে ভিডিও গেম।
‘ফাইভ নাইটস অ্যাট ফ্রেডিজ ২’ চলচ্চিত্রের প্যানেলে অভিনেতা তেও ব্রিওনেস বলেন, “আমি ছোটবেলায় এই গেম খেলতাম।” মাত্র ২০ বছর বয়সী এই তরুণ অভিনেতার বক্তব্যেই বোঝা যায় সাংস্কৃতিক পরিবর্তন কেমনভাবে গেমকেন্দ্রিক বিনোদনের দিকে এগিয়েছে।
২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ফাইভ নাইটস অ্যাট ফ্রেডিজ’ হরর গেমের প্রথম চলচ্চিত্র রূপান্তরটি বক্স অফিসে চমক সৃষ্টি করে। ২৯১.৪ মিলিয়ন ডলার আয় করা সিনেমাটির সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আসছে দ্বিতীয় কিস্তি। ডিসেম্বরেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে এই সিকুয়েল।
ইউনিভার্সাল পিকচার্স এবং ব্লামহাউস প্রযোজিত এই চলচ্চিত্রের প্যানেলে পরিচালক এমা ট্যামি ও প্রযোজক জেসন ব্লাম অংশ নেন। তাঁরা জানান, জিম হেনসন কোম্পানির কৃত্রিম পুতুল ও অ্যানিমেট্রনিক্সের নতুন মাত্রা এবার সিনেমায় যুক্ত হয়েছে।
ব্লাম বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, মূল সিনেমা মুক্তির আগেই সিকুয়েল নিয়ে ভাবা দুর্ভাগ্য ডেকে আনে।” তবে তিনি স্বীকার করেন, প্রথম সিনেমার সাফল্যের পর “আরও অনেক গল্প বলার সুযোগ রয়েছে।”
মঞ্চে উপস্থিত হয়ে দর্শকদের চিৎকার আর উল্লাস কুড়ান ‘হাংগার গেমস’ খ্যাত অভিনেতা জোশ হাচারসন। তিনি বলেন, “এমন কিছুতে অংশ নিতে পারা, যা এত মানুষের সঙ্গে সংযুক্ত, সত্যিই বিশেষ অনুভূতি।”
প্যানেলের শেষ অংশে দেখানো হয় একটি রহস্যময় দৃশ্য, যেখানে কয়েকজন চরিত্র একটি পুরনো ফ্রেডিজ রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে। সেখানে তাদের মুখোমুখি হতে দেখা যায় এক রহস্যময় নিরাপত্তা কর্মীর (অভিনেতা ফ্রেডি কার্টার) সঙ্গে। তবে দর্শকদের কৌতূহল বাড়িয়ে দৃশ্যটি থেমে যায় মূল আকর্ষণ, অর্থাৎ হত্যাকারী অ্যানিমেট্রনিক চরিত্রগুলোর প্রকাশের আগেই।
অভিনেতা স্কিট উলরিচকে তাঁর চরিত্র সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আমি কিছুই বলতে পারছি না, দুঃখিত।” তখন সহ-অভিনেত্রী পাইপার রুবিও, যিনি মাত্র ১১ বছর বয়সী, কৌতুক করে বলেন, “তাহলে আপনি এই প্যানেলে আছেন কেন?”
গেম-ভিত্তিক চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে, তেমনি দর্শকদের প্রত্যাশাও বেড়েছে। ‘ফাইভ নাইটস অ্যাট ফ্রেডিজ ২’-এর ট্রেলার এবং কমিক-কনে পাওয়া আভাসেই বোঝা যাচ্ছে, হররপ্রেমীরা ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকবেন আরও একটি চমকপ্রদ অভিজ্ঞতার জন্য।