২০২৬ সালের উত্তর আমেরিকা বিশ্বকাপে চরম গরমের প্রভাব মোকাবিলায় ম্যাচের হাফটাইম পাঁচ মিনিট বাড়িয়ে ২০ মিনিট করার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব ফুটবলারদের সংগঠন ফিফপ্রো। যুক্তরাষ্ট্রে চলমান ক্লাব বিশ্বকাপে তাপমাত্রা নিয়ে বিভিন্ন দলের অভিযোগকে তারা দেখছে ভবিষ্যৎ টুর্নামেন্টগুলোর জন্য ‘ওয়েক-আপ কল’ হিসেবে।
ফিফপ্রোর নীতি ও কৌশলবিষয়ক পরিচালক আলেকজান্ডার বিয়েলফেল্ড বলেন, “এই টুর্নামেন্ট দেখিয়েছে ভবিষ্যতের সূচি নির্ধারণে আমাদের আরো সচেতন হতে হবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে দুপুর ১২টা বা বিকাল ৩টায় ম্যাচ শুরু হওয়ায় খেলোয়াড়দের উপর তাপদাহের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। আতলেতিকো মাদ্রিদের মার্কোস ইয়োরেন্তে বলেন, “এই গরমে খেলা একেবারেই অসম্ভব, এটা ছিল ভয়ংকর অভিজ্ঞতা।”
ফিফপ্রোর গবেষণায় উঠে এসেছে, ২০২৬ বিশ্বকাপের ১৬টি ভেন্যুর মধ্যে অন্তত ছয়টি শহর ‘চরম ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত, যার মধ্যে মায়ামিও রয়েছে।
ফিফপ্রোর মহাসচিব অ্যালেক্স ফিলিপস জানান, ফিফার সঙ্গে আলোচনা চললেও ম্যাচের সময় নির্ধারণে তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা নেই।
“আমরা ম্যাচ সময় নিয়ে সুপারিশ করলেও সিদ্ধান্ত ফিফার,” বলেন ফিলিপস। “তবে তারা কিছুটা নমনীয় হয়েছে এবং মাঠে পানির ব্যবস্থা ও ঠান্ডা তোয়ালে রাখার উদ্যোগ নিয়েছে।”
ফিফপ্রোর মেডিকেল ডিরেক্টর ভিনসেন্ট গোটবার্গ বলেন, “১৫ মিনিটের হাফটাইম চরম গরমে যথেষ্ট নয়। ২০ মিনিট করা দরকার এবং প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর ছোট ছোট কুলিং ব্রেক প্রয়োজন।”
কেবল গরমই নয়, বজ্রঝড়ের সম্ভাবনার কারণে ক্লাব বিশ্বকাপে ছয়টি ম্যাচ স্থগিতও হয়েছে।
বিয়েলফেল্ড বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের কিছু অঙ্গরাজ্যে আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে খেলা স্থগিত করতে হয়। তবে ফুটবলে খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সর্বাগ্রে।”
সব মিলিয়ে, খেলোয়াড়দের সুরক্ষায় সময়মতো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ফিফাকে এখনই প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে ফিফপ্রো।