যুক্তরাষ্ট্রের এফবিআই উপপরিচালক ড্যান বংগিনো শুক্রবার তার কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। Axios এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডির সঙ্গে বংগিনোর বিরোধের জেরে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিতর্কটি শুরু হয় বুধবার, যখন ট্রাম্প প্রশাসন জেফরি অ্যাপস্টিন সংক্রান্ত পূর্বের একটি দাবির পেছনে সরে আসে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের কাছে কোনো ‘ক্লায়েন্ট লিস্ট’ নেই। এরপরই প্রশাসনের ভেতরে বিবাদের আভাস পাওয়া যায়।
বংগিনোর একাধিক সহকর্মী তার অনুপস্থিতি দেখে ভাবেন তিনি হয়তো পদত্যাগ করেছেন। তবে প্রশাসনিক সূত্র বলছে, তিনি এখনও দায়িত্বেই আছেন।
এদিকে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল টড ব্ল্যাঞ্চ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “এফবিআই ও বিচার বিভাগের মধ্যে কোনো মতবিরোধ নেই।”
তিনি বলেন, “আমি এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল ও উপপরিচালক বংগিনোর সঙ্গে মিলে যৌথভাবে অ্যাপস্টিন ফাইল সম্পর্কিত মেমো প্রস্তুত করেছি। এতে উল্লিখিত সব সিদ্ধান্তেই আমাদের সম্মতি ছিল। কেউ যদি বলে দুই সংস্থার নেতৃত্বের মধ্যে কোনো দূরত্ব ছিল, তবে তা পুরোপুরি মিথ্যা।”
ব্ল্যাঞ্চের এই মন্তব্য ছিল লরা লুমারের একটি পোস্টের প্রতিক্রিয়া। লুমার শুক্রবার এক্স-এ লেখেন, “ড্যান বংগিনো ও কাশ প্যাটেল পাম বন্ডির স্বচ্ছতা সংকট এবং মেমো নিয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। সূত্র বলছে, বংগিনো আজ ছুটি নিয়েছেন এবং তার পদত্যাগের সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, “পাম বন্ডি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও গোটা প্রশাসনকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছেন।”
জানা গেছে, ড্যান বংগিনো আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ না করলেও তার ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এর প্রেক্ষাপটে প্রশাসনের শীর্ষ মহলের অবস্থান এখনো স্পষ্ট নয়।
জেফরি অ্যাপস্টিন ইস্যুতে স্বচ্ছতা ও তথ্য প্রকাশ ঘিরে এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব কতটা গভীর, তা এখনও পুরোপুরি পরিষ্কার নয়। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ থাকার বার্তা দিচ্ছে হোয়াইট হাউস।