ঢাকা, ৩০ মে, ২০২৫ (ডেপ্রবা) : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদ আর বোর্ডে নেই। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তার পরিচালক মনোনয়ন বাতিল করেছে, যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই শূন্য হয়েছে বিসিবির সভাপতির পদ।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় বিসিবির ৮ জন পরিচালক ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অনাস্থা জানিয়ে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বরাবর চিঠি দেন। এরপরই এনএসসি ২০২৪ সালের ১৯৮ নম্বর তারিখের অধীনে ফারুককে দেয়া মনোনয়ন বাতিল করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বিসিবির গঠনতন্ত্রের ১৩.২ এর খ এর ৪ ধারা অনুযায়ী, পরিচালকের পদে থাকা ফারুকের বিরুদ্ধে পরিচালকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অনাস্থা, বিপিএল সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন এবং বোর্ডের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল করা হলো।
ফারুক আহমেদ গত বছরের আগস্টে বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেন। তবে বোর্ড পরিচালকরা অভিযোগ করেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর কমিটি পুনর্গঠন না করে পাঁচ মাস সময়ক্ষেপণ করেন। তাকে একক সিদ্ধান্তগ্রহণকারী ও স্বেচ্ছাচারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন তারা। এমনকি কোনো পরামর্শ ছাড়াই হেড কোচ চান্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বহিষ্কার করেছিলেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, ফারুকের একক সিদ্ধান্তের কারণেই বিপিএলে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়। ন্যাশনাল টিমের পারফরম্যান্সেও অবনতি ঘটেছে তার নেতৃত্বে। বোর্ডের পরিচালকেরা তাকে দায়িত্বজ্ঞানহীন বলেও অভিহিত করেছেন।
এর আগে সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় ফারুক আহমেদ জানিয়েছিলেন, অনাস্থাপত্র তার জন্য বড় বিষয় নয় এবং তিনি আইনগত ব্যবস্থাও নেবেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, পরিচালকেরা নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতেই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন।
আরও পড়ুন:
তবে এনএসসি তাদের স্বতন্ত্র তদন্তে জানায়, ফারুক আহমেদের একক আধিপত্যের কারণেই বিপিএলে নানা অনিয়ম ও বিশৃঙ্খলা ঘটে। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই তার মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ অবস্থায় বিসিবির সভাপতি পদ এখন শূন্য। নতুন সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নাম সামনে আসছে সম্ভাব্য পরবর্তী সভাপতির তালিকায়।
ক্রিকেট অঙ্গনে এই ঘটনাকে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে। আগামী দিনে বিসিবির নেতৃত্বে পরিবর্তন ক্রীড়াঙ্গনে কী প্রভাব ফেলবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
