ফরিদপুরে নতুন আসনসীমা পুনঃনির্ধারণের প্রতিবাদে সোমবার ভাঙায় পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ভাঙা থানা, উপজেলা পরিষদ কার্যালয় ও অফিসার্স ক্লাবে ভাঙচুর চালানো হয়।
সকালে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে অবরোধ কার্যকর করার চেষ্টা করলে পুলিশ তা ঠেকানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের তাড়া-পাল্টা তাড়া শুরু হয়।
চোখের পলকে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীরা থানায় হামলা চালায়। অল্পসংখ্যক পুলিশ সদস্য প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও পরে সরে যেতে বাধ্য হন। এ সময় সংবাদকর্মীদেরও ছবি ও ভিডিও ধারণে বাধা দেওয়া হয়।
ভাঙা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রকিবুজ্জামান জানান, সকাল ১১টার দিকে স্থানীয় হাজারো মানুষ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছ কেটে মহাসড়কে অবরোধ শুরু করেন। দুপুর ১টা পর্যন্ত পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালাচ্ছিল।
তিনি আরও জানান, ভোর থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবরোধ প্রতিরোধ করে আসছিল। এটি ছিল দ্বিতীয় দিনের মতো অবরোধ কার্যকরের চেষ্টা, যা ভ্রমণকারীদের চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে।
এর আগে রোববার গৃহ উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সাধারণ মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।” তিনি শনিবার সন্ধ্যার মধ্যে অবরোধ প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন নতুন আসনসীমা পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত গেজেট প্রকাশ করে। প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্ভাব্য আপত্তি নিষ্পত্তির পর এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। তবে এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে কয়েকটি জেলায় টানা বিক্ষোভ চলছে। এতে সাধারণ মানুষকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
ফরিদপুরের ভাঙায় সোমবারের সংঘর্ষ সেই বিক্ষোভেরই সর্বশেষ রূপ।