সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদাকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান পুলিশের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন শুনে এই আদেশ দেন।
এর আগে রোববার রাতে রাজধানীর উত্তরা এলাকার নিজ বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে গ্রেপ্তার করে।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম, জালিয়াতি ও ভোট কারচুপির অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, দুই জন সাবেক সিইসি এবং অন্যান্য ব্যক্তিদেরও আসামি করা হয়।
নুরুল হুদা ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন। ওই নির্বাচনে বিরোধী দলগুলো কারচুপি ও ভোট ডাকাতির অভিযোগ তোলে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, তার কার্যকালীন সময়ের নির্বাচন ছিল একটি প্রহসনমূলক ভোট, যা গণতান্ত্রিক কাঠামোকে বিপন্ন করেছে।
এই মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আদালতের আদেশের পর নুরুল হুদাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে এটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই গ্রেপ্তার ও রিমান্ডের ঘটনা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে।